Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বিরোধ নিষ্পত্তিতে অবদান, স্বর্ণপদক নিতে ঢাকা আসছেন নেপালের প্রধান বিচারপতি

নেপালের প্রধান বিচারপতি বিসম্ভর প্রসাদ শ্রেষ্ঠা।
নেপালের প্রধান বিচারপতি বিসম্ভর প্রসাদ শ্রেষ্ঠা।
[publishpress_authors_box]

আদালতের বাইরে বিকল্পভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন নেপালের প্রধান বিচারপতি বিসম্ভর প্রসাদ শ্রেষ্ঠা। এ অবদানের জন্য তাকে স্বর্ণপদক দেবে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি (বিমস)। এই পদক গ্রহণ করতে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসবেন নেপালের এই প্রধান বিচারপতি।

১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক মেডিয়েশন সম্মেলনে নেপালের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেশটির সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিসহ ১৫ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীও অংশ নেবেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফ, জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তালসহ বাংলাদেশের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আয়োজক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এ বিষয়ে বিমসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বাংলাদেশ এবং নেপাল মিলে ঢাকায় একটি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হতে যাচ্ছে। সেই কনফারেন্সে নেপালের প্রধান বিচারপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে তাকে স্বর্ণপদক দেওয়া হবে।”

তিনি বলেন, “নেপালের প্রধান বিচারপতি তার দেশে মেডিয়েশনের শুধুমাত্র প্রশিক্ষকই না, নেপালে মেডিয়েশন কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার জন্য তার অবদান যথেষ্ঠ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মেডিয়েশনের গুরুত্ব বুঝাতে তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিয়েছেন।

“শুধু তাই নয়, নেপাল ও বাংলাদেশে মেডিয়েটার্সদের উৎসাহ দিতে তিনি নিয়মিত কনফারেন্স করে থাকেন। তার উদ্যোগে গত নভেম্বর মাসে নেপালে একটি কনফারেন্স করেছিলেন, সেখানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। মেডিয়েশন জগতে তার প্রত্যক্ষ ভূমিকায় বিমস সন্তুষ্ট হয়ে তাকে স্বর্ণপদক দিচ্ছে।”

অনেক সাবেক প্রধান বিচারপতি এই পদক পেলেও এশিয়া মহাদেশের মধ্যে তিনিই প্রথম প্রধান বিচারপতি থাকাকালে এই স্বর্ণপদক পাচ্ছেন বলে জানান এই আইনজীবী।

দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান অংশ নেবেন।

বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় মামলার জট একটি বড় সমস্যা। এই বিশাল মামলার জট নিরসনে মেডিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে কাজ করে।

বিশ্বের ২৯টি দেশ তাদের নিজস্ব আইন অনুসারে মেডিয়েশনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির (বিমস) যাত্রা শুরু হয়।

মানুষের মধ্যে বিরাজমান দ্বন্দ্ব, বিবাদ দূর করতে এই মেডিয়েশন কাজ করে। এজন্য সব ধরনের পেশাজীবীদের মধ্যে থেকে মেডিয়েটর নিয়োগ দেয় বিমস।

তারা বিভিন্ন সময়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কনফারেন্সের মাধ্যমে মেডিয়েটরদের প্রশিক্ষণ দেয়। কোনও দ্বন্দ্ব মামলায় রূপ নেওয়ার আগে কিংবা মামলা চলাকালীন সময়ে মেডিয়েশনের মাধ্যমে তার সমাধান করা হয়ে থাকে।

২০১৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো মেডিয়েশন সোসাইটির সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এরপর ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বকশীবাজারে উদ্বোধন করা হয় মেডিয়েশন স্কুল। মামলা নিষ্পত্তি, দীর্ঘসূত্রতা দূর ও বিচারপ্রার্থী মানুষের মধ্যে মেডিয়েশন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এই স্কুল করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত