শিশুদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশবের গল্প শোনালেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তাদের বললেন, বঙ্গবন্ধুর বেড়ে ওঠার গল্প, লড়াই-সংগ্রামের গল্পও।
রবিবার জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টে আয়োজন করা হয়েছিল শিশু মিলন মেলার। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের শিশু সন্তানদের জন্য ছিল এই আয়োজন। সেখানেই শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান প্রধান বিচারপতি।
ওবায়দুল হাসান বলেন, “বঙ্গবন্ধু এক দিনে হয়ে ওঠেননি। তিনিও একদিন শিশু ছিলেন। তবে শিশুকাল থেকেই তার মধ্যে আলাদা প্রতিভা ছিল। তিনি মানুষকে ভালোবাসতেন, ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে এই গুণটি ছিল। অনেক লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ধীরে ধীরে তিনি বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন।”
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “হয়ত আজকের শিশুদের মধ্য থেকেই কেউ হবে প্রধান বিচারপতি, কেউ হবে রাষ্ট্রনায়ক।”
জাজেস লাউঞ্জে টানানো বিখ্যাত ব্যক্তিদের ছবি দেখিয়ে শিশুদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এখানে সাংবিধানিক পদধারীদের শপথ পড়ানো হয়। চাইলেই কেউ এই লাউঞ্জে আসতে পারে না। আজ তোমরা এসেছো।”
এসময় তিনি শিশুদের মন দিয়ে লেখাপড়া করতে পরামর্শ দেন। পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে সুপ্রিমকোর্ট ইনার গার্ডেনে ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব’ সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। সকালে বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এসময় চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী তার আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রধান বিচারপতিকে উপহার দেয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান।