টানা দুটি কোপার ফাইনালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার স্বপ্ন ভেঙেছিল চিলি। ২০১৫ সালের পর ২০১৬’র ফাইনালেও চিলির কাছে টাইব্রেকারে হারে আর্জেন্টিনা। ২০১৬ সালের ফাইনালটা হয়েছিল নিউ জার্সিতে।
একই ভেন্যুতে কাল সকালে গ্রুপ পর্বে চিলির মুখোমুখি আর্জেন্টিনা। তবে আট বছর আগের সেই ফাইনাল নিয়ে ভাবতেই চান না আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি, ‘‘২০১৬ সালের ফাইনালে কোনও কিছু বাকি নেই। গত ম্যাচের আগে যেমন বলেছিলাম, আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেও এটা শেষ হয়ে গেছে। ফুটবল এমনই। সব কিছু ইতিহাস। পেছনে ফিরে যাওয়ার মানে নেই।’’
চিলির বিপক্ষে ৯০ ম্যাচে আর্জেন্টিনার জয় ৫৮টি, ড্র ২৬ আর হার ৬টি। লিওনেল মেসি ১১ ম্যাচ খেলে জিতেছেন ৬, ড্র ৪ হার কেবল ১টি। গোল করেছেন ৫টি, অ্যাসিস্ট ২টি। অথচ ২০১৬ সালে এই চিলির কাছে ফাইনালে টাইব্রেকারে না পেরেই অবসর নিয়েছিলেন মেসি।
আর্জেন্টাইন সাংবাদিক হুয়ান পাবলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ফেরা নিয়ে মেসি বললেন, ‘‘তখন জাতীয় দলে ফেরাটা খুব কঠিন ছিল আমার জন্য। দলে তখন সবাই নতুন, আমি সবাইকে চিনতামও না। অনেক দিন জাতীয় দলে থাকলেও এই গ্রুপে ঢোকা কঠিন ছিল। তখন রোদ্রিগো দে পল অনেক সাহায্য করেছিল আমাকে।’’
কোপা শুরুর আগে এমবাপ্পেকে একহাত নিয়েছিলেন মেসি। তার সুরে কথা বলেছেন কোচ লিওনেল স্কালোনিও, ‘‘শুধু এমবাপ্পে বলেছে বলেই ওটা বেদবাক্য হয়ে যায়নি (কোপার চেয়ে ইউরো ভালো)। মদরিচ তো উল্টোটা বলেছে। এটা আসলে নিজেদের মত, যা শ্রদ্ধা করতে হবে। ইউরোতে লাতিনরা খেলে না আর কোপায় ইউরোপিয়ানরা খেলে না। এখানে যদি বিশ্বকাপটা যোগ করি, তাহলে দেখব ১০টা শিরোপা লাতিনদেরই।’’
চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার প্রতিদ্বন্দ্বী আবার এক আর্জেন্টাইনই! এ বছর তাদের কোচ হয়েছেন আর্জেন্টিনার রিকার্দো গারেকা। জন্মভূমির মুখোমুখি হওয়ার আগে গারেকা বললেন, “আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলা সবসময় বিশেষ কিছু।’’
সেই বিশেষ ম্যাচে কী শেষ হাসি হাসতে পারবেন গারেকা।