Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের পাল্টাপাল্টি শুল্কে পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন 

stock market
[publishpress_authors_box]

চীনসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের রপ্তানি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার দেশটির পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে বেইজিং। এর জেরে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা আরও বেড়ে গেছে।

বলা হচ্ছে, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির সময় পুঁজিবাজারে যে ধস নেমেছিল তারপর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজার এত দরপতন দেখা গেল।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের এই পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্য যুদ্ধ ডেকে আনার পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারের প্রধান তিনটি সূচকই ৫ শতাংশের বেশি কমেছে, যার মধ্যে এস অ্যান্ড পি ৫০০ প্রায় ৬ শতাংশ কমে।

এছাড়া যুক্তরাজ্যের এফটিএসই ১০০ প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন। এশিয়ার পুঁজিবাজারে দরপতন দেখা গেছে। জার্মানি ও ফ্রান্সের স্টক এক্সচেঞ্জেও একই ধরনের পতন লক্ষ্য করা গেছে।

বিভিন্ন দেশের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন নিয়ে মোটেই উদ্বিগ্ন নন ট্রাম্প।

বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর অঙ্গীকার করা যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্ট মনে করছেন, তার দেশের শ্রমবাজার যেহেতু শক্ত অবস্থানে আছে, তাই অর্থনীতিতে এই ধাক্কা সামলে উঠতে পারবেন তিনি।

নিজের মালিকাধীন সোশাল মিডিয়া ট্রুথ সোশালে ফলোয়ারদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “মনে জোর রাখো। আমরা হারতে পারি না।”

এ বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিশ্বের যত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে, তাদের সবার ওপর নতুন করে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এর পরপরই বৈশ্বিক শেয়ারবাজার ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৯৬৮ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আমদানি পণ্যের ওপর এত ব্যাপক আকারে শুল্ক বসানো হয়নি। এর ফলে বাণিজ্য সংকুচিত হবে এবং অনেক দেশ অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়বে।

গত বুধবার ট্রাম্পের চীনা পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্কারোপের দুদিন পর শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর একই হারে শুল্ক বসায় বেইজিং।

যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের রপ্তানি সীমিত করার পাশাপাশি দেশটির কয়েকটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্তও করে তারা।

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপে অস্থির হয়ে পড়েছে পুঁজিবাজার।

চীন সরকারের ভাষ্য, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতি লঙ্ঘন করেছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের শুল্ক নীতির শিকার হওয়া কয়েকটি দেশ আশা করছে, আলোচনার টেবিলে বসে তারা এই শুল্কারোপের বিষয়ে সমাধানে পৌঁছাতে পারবে। তবে হোয়াইট হাউস থেকে আলোচনার বিষয়ে স্পষ্ট ও সঙ্গতিপূর্ণ বার্তা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।     

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য কমিশনার মারোশ শেফচোভিচ শুক্রবার সোশাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে জানান, শুল্কের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই ঘণ্টা ‘খোলামেলা’ আলোচনা করেছেন তিনি।

তাদের সঙ্গে আলোচনার পর তার মনে হয়েছে, বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখন নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন।

শেফচোভিচ বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থপূর্ণ আলোচনার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে একই সঙ্গে আমরা আমাদের স্বার্থরক্ষার বিষয়েও প্রস্তুত।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত