চট্টগ্রামের সাবেক ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর দুই নম্বর গেইল এলাকার বাড়ির পর হামলার শিকার হয়েছে সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে।
শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে মেয়রের বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় সময় তিনি বাড়ির ভেতরেই ছিলেন।
হামলাকারীরা বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙে ঘরের আঙিনায় প্রবেশের চেষ্টা করে। সেখানে একটি হাতবোমাও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। চট্টগ্রামের আন্দোলনকারীরা দুপুর থেকে নিউমার্কেট এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন। পরে সেখান থেকে একটি মিছিল বের হয়।
মিছিলটি বহদ্দারহাট মোড় এলাকায় পৌঁছলে পুলিশের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনকারীরা পুলিশ বক্সে হামলা চালালে শুরু হয় সংঘর্ষ। এসময় পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ন। এরপরই মেয়রের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর চশমা হিলের বাড়িতে হামলার দুই ঘণ্টার মধ্যেই বর্তমান মেয়রের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটল। চশমা হিলের মেয়র গলির মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাড়ি থেকে বহদ্দারহাটে সিটি মেয়রের বাড়ির দূরত্ব প্রায় ছয় কিলোমিটার।
হামলার বিষয়ে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “হামলাকারীরা প্রধান ফটক ভেঙে ঘরের আঙিনায় প্রবেশ করে। সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।”
হামলার সময় তিনি বাড়ির ভেতরে ছিলেন বলেও জানান মেয়র।
চান্দগাঁও থানার ডিউটি অফিসার এসআই সালমা জানিয়েছেন, মেয়রের বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে সেখানে গেছে পুলিশের একটি দল।