বন্যার কারণে বন্ধ থাকার পর ফের চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার রাত থেকে দুটি এবং মঙ্গলবার থেকে সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
একইভাবে বিকালে চট্টগ্রামের ইস্টার্ণ রিফাইনারি থেকে জ্বালানি তেল এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহি কন্টেইনার ট্রেনও চলাচল শুরু হবে, জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম।
বন্যায় ফেনী থেকে ফাজিলপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সম্পূর্ণ রেলপথ নষ্ট হয়ে যায়। এ পথে বন্যার পানির তোড়ে রেলপাত ও স্লিপার ছাড়া মাটি, পাথর রেললাইন থেকে সরে যায়। এরপর ২২ আগস্ট থেকে এই রুটে সব ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রেল কর্তৃপক্ষ একটি লাইন দ্রুত মেরামত শেষে সোমবার রাত থেকে ট্রেন চালানো শুরু করে। কিন্তু পুরোদমে স্বাভাবিক গতিতে ট্রেন চলতে আরেও এক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, “ফেনীতে রেলের ১০ কিলোমিটার রেলপথ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই অংশে আমরা সাময়িক মেরামত শেষে দেশের সার্বিক অর্থনীতি ও মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে এবং মঙ্গলবার থেকে সব ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দিয়ে একটি লাইনে ট্রেন চলবে, আরেকটি লাইন চালু করতে সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে।”
রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পুরোটাই ডাবল লাইন। বন্যার কারণে চট্টগ্রাম-ঢাকার আপ লাইনটি (চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে একটি লাইন অর্থাৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাউন লাইনের (ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী) মাধ্যমে ট্রেনের গতি কমিয়ে ট্রেন চালানো হচ্ছে।
আগে এ পথ দিয়ে ৬৫ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ কিলোমিটার গতিবেগে ট্রেন চলাচল করত। এখন সেখানে গতি কমিয়ে আনা হয়েছে। ফলে উভয়মুখী ট্রেন চট্টগ্রাম পৌঁছাতে কিছুটা বাড়তি সময় লাগবে।