Beta
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংঘর্ষে জুতার দোকানের কর্মচারী নিহত

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মীর নামে হত্যামামলা

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
[publishpress_authors_box]

চট্টগ্রামে গত ৩ আগস্টের সংঘর্ষে শহীদুল ইসলাম শহীদ নামে এক জুতার দোকানের কর্মচারী নিহত হওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাত নেতাকর্মীর নামে হত্যামামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীতে গত ৩ আগস্ট রাতে তৎকালীন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসায় হামলার সময় সংঘর্ষের মাঝে পড়ে নিহত হন শহীদ। গতকাল সোমবার রাতে তার ভাই শফিকুল ইসলাম মামলাটি করেন চান্দগাঁও থানায়।

থানার ওসি জহিদুল কবির বলেন, মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মহিউদ্দিন ফরহাদ নামে এক ব্যক্তিকে, যার পরিচয় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় আরও যেসব আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- জালাল ওরফে ড্রিল জালাল (৪২), ফরিদ (৪২), সরকারি সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি তাহসিন, এইচএম মিঠু (৪০), জাফর (৩৮), ফিরোজ (৩৮) ও দেলায়ার (৪০)।

এজাহারে বলা হয়েছে, ছোট ভাই শহীদুল ইসলাম শহীদ কোতোয়ালী থানার কদমতলী এলাকার একটি জুতার দোকানের কর্মচারী। গত ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ছুটি শেষে বহদ্দারহাট মোড়ে আসেন তিনি। কাঁচাবাজার থেকে বাজার করার পর হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন শহীদ।

এ সময় আওয়ামী লীগের ওই সাত নেতাকর্মীসহঅজ্ঞাতপরিচয় ৩০-৪০ জন আশপাশের গলি থেকে বাঁশ, কাঠের লাঠি, ইট-পাথর, লোহার রড, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ বেরিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে টায়ার জ্বালিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে।

শহীদ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বহদ্দারবাড়ী শাহী জামে মসজিদের সামনের সড়কে পৌঁছলে আসামিদের গুলিতে তিনি আহত হন। বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শহীদ।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলন চলাকালে গত ৩ আগস্ট নিউ মার্কেট মোড়ে সমাবেশ করে ছাত্র-জনতা। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে ষোলশহর মেয়র গলিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে।

এরপর মিছিল থেকে বহদ্দারহাট এলাকায় সিটি মেয়র রেজাউল করিমের বাসভবনেও হামলা হয়। সেই হামলার সময় বহদ্দারহাট মোড়ে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত