Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনশূন্য, ১৯ আগস্ট খুলছে না

cu-2
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

উপাচার্যসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো থেকে শিক্ষকরা পদত্যাগ করায় কার্যত প্রশাসনশূন্য অবস্থায় রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ অবস্থায় ১৯ আগস্ট থেকে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ। কবে নাগাদ ক্লাস শুরু হতে পারে সে বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি।

বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব ঘোষিত ১৯ আগস্ট ক্লাস শুরুর কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার স্বার্থে হলে আসন বরাদ্দ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ঘোষণা দেওয়া হয় অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের।

এরপর থেকেই দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিরা পদত্যাগ করতে শুরু করেন। যার ধারাবাহিতায় পদত্যাগ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি এবং সবগুলো আবাসিক হলের প্রভোস্টরা।

এমন পরিস্থিতিতে ১০ আগস্ট থেকে আবাসিক হল বরাদ্দের সিদ্ধান্ত থেকেও সরে আসে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে ৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ১০ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যে আবাসিক হলে সিটের জন্য শিক্ষার্থীদের আবেদন নেওয়া শুরু হবে। ১৭ আগস্ট হলের আসন বরাদ্দ দেওয়া হবে। বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষার্থীরা ১৮ আগস্ট হলে উঠবে।

ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের স্থায়ী ঠিকানার দূরত্ব ও পরীক্ষার ফলাফল যাচাই করে এই বরাদ্দ দেওয়া হবে। যেসব শিক্ষার্থী আগে আবেদন করেছে তাদেরও নতুন করে আবেদন করতে হবে। তবে শিক্ষার্থীদের নতুন করে ফি দিতে হবে না।

কিন্তু আবাসিক হল বরাদ্দের প্রক্রিয়ায় এক রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ উঠে। এই অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আবাসিক হল বরাদ্দ প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবি তোলার পর বন্ধ হয়ে যায় সেই কার্যক্রম।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত