বেসরকারি খাতের সিটিজেন ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তৌফিকা আফতাব। অন্যদিকে, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ কাদরীও পদত্যাগ করেছেন।
সিটিজেন ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, তৌফিকা আফতাব পদত্যাগ করার পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন চৌধুরী মোহাম্মদ হানিফ শোয়েব, যিনি সালমা গ্রুপের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
জানা যায়, সিটিজেন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার সময় থেকে এর চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মা জাহানারা হক। তিনি মারা যাওয়ার পর ব্যাংকটির যাত্রার শুরু থেকেই তৌফিকা আফতাব চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
তৌফিকা আফতাব সিটিজেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে তিন বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেন। সরকার পরিবর্তনের পর গত ১৪ আগস্ট একই চিঠিতে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সিটিজেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান তৌফিকা আফতাবের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
এদিকে, বেসরকারি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ কাদরী দেশের বাইরে থেকে গত ১১ সেপ্টেম্বর ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সরকার পরিবর্তনের পর গত ২৭ আগস্ট ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদ পূনর্গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পরপরই ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থা যাচাই করতে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে নিরীক্ষার দায়িত্ব দেয় পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ। আগামী অক্টোবরে এই নিরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা।
সরকার পতনের আগে ইউসিবির চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরী। বিদেশে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিপুল সম্পদ থাকার খবর ছড়িয়ে পড়ায় এবং শেয়ারধারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পতনের পর রুখমিলা জামান চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন। এর পর দুই দফায় দুই জনকে চেয়ারম্যান করা হয়। পরে সেই পর্ষদও বাতিল করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন শরীফ জহীর।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইউসিবি সূত্রে জানা গেছে, সরকার পতনের পর গত ১৪ আগস্ট ব্যাংকটির এমডি আরিফ কাদরী ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে বিদেশে যান। এর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বিদেশে থেকেই তিনি ছুটি বাড়িয়ে নেন। ১০ সেপ্টেম্বর ছুটি শেষ হওয়ার পরদিন তিনি বিদেশ থেকে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠান।
এরপর ব্যাংকটির অতিরিক্ত এমডি সৈয়দ ফরিদুল ইসলামকে এমডির চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে ইউসিবির ডিএমডি আলমগীর কবির অফিস করছেন না বলে জানা গেছে।