শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সব ধরনের কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সে অনুযায়ী আগামী রবিবার থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। বৃহস্পতিবার এক অফিস আদেশে একথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক অফিস আদেশে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী রবিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হলো।
এছাড়া বুধবার থেকে শুরু হয়েছে দেশের প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক শ্রেণির ক্লাস।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলনের জেরে সৃষ্ট পরিস্থিতি সহিংস হয়ে উঠলে গত ১৬ জুলাই দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে তৎকালীন সরকার।
নানা ঘটনা পরিক্রমার পর গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে ৭ আগস্ট সব অফিস-আদালত-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর কথা বলা হয়। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়ায় এবং বিভিন্ন স্থান থেকে হামলা-সংঘর্ষের খবর আসায় সেই অর্থে ক্লাস শুরু করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানগুলো।
পাশাপাশি থানাগুলোয় পুলিশ না থাকায় এবং সড়কে ট্রাফিক পুলিশরা দায়িত্ব পালন না করায় সেই কাজ নিজেদের কাঁধে তুলে নেয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি অরক্ষিত থানাসহ বিভিন্ন স্থাপনার নিরাপত্তাও দিতে দেখা যায় তাদের।
চলতি সপ্তাহে পুলিশ সদস্যরা কাজে ফিরে দায়িত্ব বুঝে নিতে শুরু করলে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের চাপ করতে থাকে। কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ক্লাস শুরু হয়।
এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এল।