ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর দিন কাঠমান্ডুর দি সোলটি হোটেলে সাবিনা খাতুনদের দেখা গেল বেশ ফুরফুরে মেজাজে। রাতে জয় উদযাপনে কোনও কেক কাটা হয়নি। কিন্তু বৃহস্পতিপার আইসক্রিম পার্টি দিয়েছেন ফুটবলাররা। দুপুরে সুইমিং পুল লাগোয়া বেঞ্চে বসে শীতের রোদ গায়ে মেখেছেন। অনেক সময় ধরে আড্ডা দিয়েছেন।
দলের কোচ পিটার বাটলারকে অবশ্য দেখা যায়নি হোটেলের লবিতে। যেহেতু এদিন অনুশীলন রাখেননি কোচ, তাই জিমে মেয়েরা হালকা গা গরম করেছেন।
বাটলার হয়তো এই ফুটবলারদের নিয়ে প্রতিপক্ষকে আটকানোর ছক কষছেন। কিন্তু সাবিনা খাতুন, মারিয়া মান্দারা বারবার পুরনো কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকেই স্মরণ করছেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন সময় আকার ইঙ্গিতে সে সব বলারও চেষ্টা করেছেন ফুটবলাররা।
কিন্তু পাকিস্তানের কাছে প্রথম ম্যাচে ড্রয়ের পর আক্ষরিক অর্থেই দলের গোলাম রব্বানীর শরণাপন্ন হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। একে তো দলের মধ্যে অন্তঃকলহর গুঞ্জন, এর ওপর শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে বাঁচা মরার লড়াই। কোচ পিটার বাটলারের অধীনে যতোই অনুশীলন করুক না কেন, সাবিনাকে তাই ফোন করতে হলো ছোটনকেই।
হোটেলের লবিতে সেই কথা অকপটে বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। চাপ কাটাতে ভারত ম্যাচের আগে তিনি কথা বলেছিলেন,“ আমি ম্যাচের আগের দিন ছোটন (গোলাম রব্বানী) স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। ১৪ বছরের একটি বন্ডিং রয়েছে উনার সঙ্গে। আমার মনে হয়, নিজেকে যতটা না জানি, এর চেয়ে উনি বেশি জানেন আমাকে। উনি বলেছিলেন হার, ড্র কিংবা জয় সব কিছুতেই সেমিফাইনালে খেলবি তোরা। তবে ফাইনালের মানসিকতা নিয়ে খেলতে হবে।’
কিন্তু ছোটনের সঙ্গে যে কথা হয়েছে সেটা সতীর্থদের বুঝতে দেননি সাবিনা, “আমি যে স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি সেটা কাউকে জানায়নি। আমি ইচ্ছা করেই এটা করেছি। কিন্তু স্যার যে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন সেটা মনে রেখেই ভারতের বিপক্ষে খেলেছি। যেহেতু ভারত ম্যাচের আগে অনেক বিতর্ক হচ্ছে তাই আমি ওই বার্তাটা তার হয়ে নিজেই দিয়েছি সবার কাছে। ”