এমন বাংলাদেশ দলকেই যেন দেখতে চেয়েছিলেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। টেকনিক, ট্যাকটিকস সব দিকে এগিয়ে থাকা দলের কাছে ২-০ গোলে হার। এর মধ্যে একটি গোল আত্মঘাতী। এমন পারফরম্যান্সের স্বস্তি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন এলেন হাসি খুশি কোচ। জানালেন ম্যাচ হারলেও তার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।
র্যাংকিংয়ে ১৬০ ধাপ এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার কাছে বাংলাদেশের হার দুই গোলে। এই দলের বিপক্ষেই গত নভেম্বরে মেলবোর্নে বাংলাদেশ হেরে এসেছিল ০-৭ ব্যবধানে। এবার নিজেদের মাঠে সহজে হাল ছাড়েনি হাভিয়ের কাবরেরার দল। জমাট রক্ষণে সকারুদের আক্রমণ ভেস্তে দিয়েছেন তপু-তারিকরা।
তাতে হারের ব্যবধান বড় হয়নি। শক্তি-সামর্থ্যে এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে এমন পারফরম্যান্স নিশ্চিতভাবেই পরের ম্যাচে ইতিবাচক কাজে দেবে।
বাংলাদেশ কোচ বলছেন তেমনটাই, ‘আমি ম্যাচের ফলের দিকে খুব বেশি দৃষ্টি দিতে চাই না। লক্ষ্য ছিল উন্নতি করার। আমি মনে করি ফলটুকু বাদ দিলে উন্নতির লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত ডিফেন্ডিং করেছে ছেলেরা। বক্সে, বক্সের বাইরে, সেট পিসে শীর্ষ পর্যায়েও ডিফেন্ডিং হয়েছে।”
এমন পারফরম্যান্সে খুশি কাবরেরা, “তারা শারীরিকভাবে শক্তিশালী দল, তবে আমি দলের পারফরম্যান্সে খুশি। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ২৪তম এবং বিশ্বকাপ খেলা দলটির বিপক্ষে আমাদের এনার্জি, অ্যাটিটিউড, সবকিছু ইতিবাচক ছিল “
তিনি যোগ করেন, “ওপরের (আক্রমণে) দিকে আমাদের সমন্বয়ের সমস্যা ছিল। আক্রমণের সময় ওই জায়গাগুলোতে আরও ভালো করতে পারতাম আমরা।’
বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে ১১ জুন লেবাননের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি হবে কাতারের দোহায়। শুক্রবার এজন্য দেশ ছাড়বেন ফুটবলাররা। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের এমন ইতিবাচক মানসিকতা পরের ম্যাচেও টেনে নেওয়ার আশা কাবরেরার, “প্রথম ম্যাচে যে ভুলগুলো করেছিলাম সেদিকে নজর দিয়ে তা সংশোধনের চেষ্টা করেছি। আমাদের দুর্বলতা কি ছিল তা বিশ্লেষণ করতে হবে। ইতিবাচক মনোভাবটা ধরে রাখতে চাই আমরা।”