মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী।
রবিবার সকালে টেকনাফের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক বলেন, অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে মিয়ানমারের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ সুযোগে সেখানকার দুর্বৃত্তরা মাদক চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশের তৎপরতা বাড়াবে, এমনটা স্বাভাবিক। এসব বিবেচনায় কোস্ট গার্ড তাদের নির্ধারিত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এসব এলাকায় জনবল, নজরদারি বাড়ানো, জলযান বৃদ্ধির পাশাপাশি টহল বাড়িয়েছে।
চলমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে কোনও প্রকার অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান কোস্ট গার্ডের ডিজি।
এদিন টেকনাফ পৌঁছে নাফ নদী দিয়ে সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন কোস্ট গার্ড প্রধান। এসময় তিনি আরও বলেন, “সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে কোস্ট গার্ড, পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীও রয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী অনেকের পথ আটকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কোনওভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।”
সীমান্ত পরিদর্শন নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ জানিয়ে তিনি বলেন, “সব ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদীতে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা টহল চলছে। এই নজরদারি আরও বাড়ানোর জন্য এই পরিদর্শন।”
মিয়ানমারের জলসীমায় বিভিন্ন সময়ে জাহাজ দেখা যাওয়া স্বাভাবিক জানিয়ে তিনি বলেন, “আগেও দেশটির জলসীমায় তাদের বাহিনীর জাহাজ ছিল। এখনও আছে। এটা তাদের বিষয়। আমাদের জলসীমায়ও আমাদের নৌবাহিনীর জাহাজ ছাড়া কোস্ট গার্ডের একটি জাহাজ রয়েছে।”