কলম্বিয়ার বোগোটা বিমানবন্দরে এক নারী যাত্রীর লাগেজে পাওয়া গেছে ১৩০টি বিষাক্ত প্রজাতির ব্যাঙ। হারলেকুইন নামের এই বিষাক্ত ব্যাঙগুলো ছোট ছোট ফিল্ম ক্যানিস্টারে (ফিল্ম রাখার বাক্স) ভরে বহন করা হচ্ছিল।
সোমবার ব্রাজিলিয়ান ওই নারীর লাগেজ জব্দ করার পাশাপাশি তাকে গ্রেপ্তার করে কলম্বিয়ান পুলিশ, দায়ের করা হয়েছে বন্যপ্রাণি পাচারের অভিযোগে মামলা।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই নারী পানামা হয়ে ব্রাজিলের সাও পাওলো যাচ্ছিলেন। তার দাবি, পাচার নয় এসব ব্যাঙ তিনি দক্ষিণ কলম্বিয়ার স্থানীয় সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন।
কলম্বিয়ার বোগোটার পুলিশ কমান্ডার জুয়ান কার্লোস আরেভালো জানান, বিপন্ন প্রজাতির এই ব্যাঙের আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। প্রতিটি ব্যাঙ অন্তত এক হাজার ডলারে বিক্রি করা যাবে।
লুকিয়ে বিপন্ন প্রজাতির ব্যাঙ পরিবহনের জন্য ওই নারীকে ১৪ হাজার ৩০০ ডলার জরিমানা গুনতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন বোগোটার পরিবেশ সচিব আদ্রিয়ানা সোটো।
বিষাক্ত হারলেকুইন ব্যাঙ আকারে মানুষের বুড়ো আঙ্গুলের চেয়েও ছোট হয়। এটি পয়জন ডার্ট ব্যাঙ নামেও পরিচিত। এদের ত্বকের গ্রন্থিগুলি অত্যন্ত বিষাক্ত এক ধরণের বিষ উৎপন্ন করতে সক্ষম।
প্রাচীণকালে আদিবাসীরা এই ব্যাঙের বিষ শিকারে ব্যবহার করত। শিকারের আগে তারা ডার্ট বা তীরের মাথায় ব্যাঙের বিষ লাগিয়ে নিত। এই বিষ ছোট প্রাণি হত্যা করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী।
বিপন্ন প্রজাতির এই ব্যাঙ ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ার মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের স্যাঁতসেঁতে বনে বাস করে। এছাড়া মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশেও এদের দেখা পাওয়া যায়।
জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ অঞ্চল কলম্বিয়া বন্য প্রাণি পাচারকারীদের জন্য ‘যেন এক ’স্বর্গরাজ্য’ হিসেবে পরিচিত। উভচর থেকে শুরু করে ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণি, হাঙ্গরের মতো সামুদ্রিক প্রাণি পাচারকারীদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।