Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কমান্ড সেন্টারের কাজ শুরু

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি : পিআইডি
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি : পিআইডি
[publishpress_authors_box]

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে যাত্রা শুরু করল কমান্ড সেন্টার।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কাজ শুরু করেছে এই সেন্টার। যা পরিচালিত হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এর সঙ্গে যুক্ত থাকবেন পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড ও  আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

রবিবার ঢাকার হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “রাজধানীসহ দেশের কোথাও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলে কমান্ড সেন্টার থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে বিভিন্ন বাহিনীর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সমন্বয়ের জন্য ড. ইউনূস একটি কমান্ড সেন্টার স্থাপনের নির্দেশ দেন।

সেই নির্দেশ অনুযায়ীই যাত্রা শুরু করল কমান্ড সেন্টার।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তাদের ঘনিষ্ঠরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করছে উল্লেখ করে সেই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সব নিরাপত্তা বাহিনীকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে সর্বোচ্চ আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। আমাদের অবশ্যই একটি কমান্ড সেন্টার বা কমান্ড সদরদপ্তর স্থাপন করতে হবে, যা পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।”

তিনি বলেন, নতুন কমান্ড কাঠামো ‘দক্ষতা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে’ দেশের সব বাহিনী ও থানা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।

এসময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মতো আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই বছরটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাউকে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না।

“ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করছে এবং মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়াচ্ছে।”

দেশবাসীকে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সবাইকে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের মানবাধিকার সুরক্ষার নির্দেশ দেন এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “যদি আমরা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে না পারি, তাহলে বৈশ্বিক ভাবমূর্তি আমাদের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই বিষয়ে আমাদের সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হতে হবে।”

পুলিশকে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এমনভাবে অভিযান পরিচালনা করতে হবে, যাতে পবিত্র রমজান মাসে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখা যায়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত