ম্যাচ চলাকালে ব্যাটার বলের আঘাত পেলে তার বদলি খেলানোর নিয়ম করে আইসিসি। সেটাই ক্রিকেটে কনকাশন বদলি হিসেবে পরিচিতি। সোমবার দুর্দান্ত ঢাকা ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচে কনকাশন বদলির ঘটনা ঘটে। বিপিএল ইতিহাসে যা দ্বিতীয়।
ঢাকার ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পেসার আল আমিনের বলে মুখে আঘাত পান দলটির শ্রীলঙ্কার ব্যাটার দানুশকা গুনাতিলকা। থুতনিতে ২২টি সেলাই লাগে তার। তার বদলে ১৫ সদস্যের বাইরে থাকলেও কনকাশন বদলি হওয়ার সুযোগ পান লাসিথ ক্রুসপুলে।
ঢাকার ঘোষিত ১৫ সদস্যে গুনাতিলকার ‘‘লাইক টু লাইক’’ বদলি না থাকায় দলে থাকা ক্রুসপুলেকে খেলার অনুমতি দেন ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান।
এর আগে ২০২২ আসরে প্রথমবার কনকাশন বদলি হয় বিপিএলে। সেই ম্যাচেও ছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলটির বোলার রেজাউর রহমান রাজার বলে মাথার পেছনে আঘাত পান খুলনা টাইগার্সের উইন্ডিজ ব্যাটার আন্দ্রে ফ্লেচার। তার বদলে ওই ম্যাচে কনকাশন সাব হয়ে নামেন জিম্বাবুয়ান সিকান্দার রাজা।
বাংলাদেশের প্রথম তাসকিন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কনকাশন বদলির তালিকায় নাম উঠেছে বাংলাদেশেরও। এমনকি রেকর্ড গড়েই। ২০২১ সালে তাসকিন একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম কনকাশন সাব খেলোয়াড় হন।
সে বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় মাথায় আঘাত পান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার বদলি হিসেবে নামেন তাসকিন। ওয়ানডে ক্রিকেটে সেটাই প্রথম।
এছাড়া টেস্টে কনকাশন সাব তালিকায় একটি রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। ২০১৯ ভারত সফরে এক টেস্টে দুজন কনকাশন বদলি করার রেকর্ড। ওই টেস্টে এক ইনিংসেই প্রথমে লিটন দাশের বদলে মেহেদি হাসান মিরাজ ও পরে নাঈম হাসানের বদলে তাইজুল ইসলামকে বদল করতে হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যারা
এই নিয়ম চালু হওয়ার পর ২০১৯ সালে প্রথম ব্যাটার হিসেবে কনকাশন বদলি হন স্টিভেন স্মিথ। অ্যাশেজ সিরিজের লর্ডস টেস্টে তার বদলে ব্যাট করতে নেমেছিলেন মার্নাস লাবুশেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম কনকাশন বদলি ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তার বদলে নেমেছিলেন যুযবেন্দ্র চেহেল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০২০ সালের ওই ম্যাচে প্রথম কনকাশন বদলি হিসেবে দারুণ বোলিং করে ম্যাচ সেরা হওয়ার রেকর্ডও গড়েন চেহেল।
বিশ্বকাপে প্রথম কনকাশন বদলি হওয়ার রেকর্ড পাকিস্তানের উসামা মীরের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই ঘটনা ঘটে। মীরের বদলে কনকাশন সাব হয়ে নামেন শাদাব খান।