কানাডা ২ (৩) : ২ (৪) উরুগুয়ে
ম্যাচের ৯০ মিনিট শেষ। চলছিল অতিরিক্ত সময়ের খেলা। ১৫বারের কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের বিপক্ষে তখনও ২-১ গোলে এগিয়ে কানাডা। তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচটিতে মনে হচ্ছিল তাদের জয় সময়ের অপেক্ষা।
তখনই নাটকীয়ভাবে ম্যাচে ফিরে উরুগুয়ে। ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে গোল উরুগুয়ের কিংবদন্তি লুইস সুয়ারেসের। হোসে হিমিনেসের বাড়ানো ক্রস ঠান্ডা মাথায় জালে জড়ান তিনি। তাতে রোমাঞ্চকর ম্যাচে সমতা ফিরে ২-২’এ।
এই গোলের পরই আত্মবিশ্বাস নড়ে যায় কানাডার। টাইব্রেকারে তারা হেরে যায় ৪-৩’এ। ইসমাইল কোনের পেনাল্টি ঠেকিয়েছিলেন গোলরক্ষক সার্জিও রচেত। আর আলফন্সো ডেভিসের শট লাগে ক্রসবারে। উরুগুয়ের হয়ে ফেদে ভালভের্দে, রদ্রিগো বেন্তানকুর, জর্জিয়ান দে আরাকায়েস্তা ও লুইস সুয়ারেসের শট জড়ায় জালে। তাদের পঞ্চম শট নেওয়ার দরকার হয়নি। ম্যাচ শেষে সুয়ারেসকে শূন্যে ছুঁড়ে উদযাপন করেন সতীর্থরা।
ইনজুরি টাইমের গোলে একটা রেকর্ডও গড়েছেন সুয়ারেস। তিনি কোপায় গোল করলেন ৩৭ বছর ১৭১ দিনে। এত বেশি বয়সে কোপায় গোলের রেকর্ড নেই আর কারও।
টাইব্রেকার মিস করলেও ইসমাইল কোনের ২২ মিনিটের গোলে সমতা ফিরিয়েছিল কানাডা। এর আগে অষ্টম মিনিটে উরুগুয়েকে এগিয়ে নেন রোদ্রিগো বেন্তানকুর। তবে ৮০ মিনিটে জোনাথন ডেভিডের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল প্রথমবার কোপায় খেলা কানাডা। এরপর ইনজুরি টাইমে সুয়ারেসের সেই গোলে ম্যাচে ফিরেছিল নাটকীয় সমতা।
উরুগুয়ে-কানাডা দুই দলই ক্ষু্ব্ধ ছিল কোপার আয়োজকদের ওপর। কানাডার কোচ বলেই ফেলেছিলেন, তাদের নাকি তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে হচ্ছে! আর কলম্বিয়ার কাছে হারের পর গ্যালারিতে পরিবারের সদস্যদের রক্ষায় দারউন নুনিয়েজদের মারামারির ঘটনায় আয়োজকদের একহাত নিয়েছিলেন উরুগুয়ের কোচ মার্সেলো বিয়েলসা। তৃতীয় হওয়ার সান্ত্বনায় এই ক্ষোভ মিটবে না নিশ্চিতভাবে।