Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ

সাবেক এমপি শিখর-আজাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সাইফুজ্জামান শিখর (বাঁয়ে) ও আবুল কালাম আজাদ। ফাইল ছবি
সাইফুজ্জামান শিখর (বাঁয়ে) ও আবুল কালাম আজাদ। ফাইল ছবি
[publishpress_authors_box]

ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শিখর ও তার স্ত্রী সিমা রহমানের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির পক্ষে এসব মামলা করা হয়েছে বলে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন।

একই দিন গাইবান্ধা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রী মোছা. রুহুল আরা রহিমের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে উৎসের সঠিকতা যাচাইয়ে তার সম্পদ বিবরণী চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে বলা হয়, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬২ হাজার ৫২১ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। এ ছাড়া তিনি নিজের নামে সাতটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৮২ হাজার ৩১৫ টাকার সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

শিখরের স্ত্রী সিমা রহমানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ১৬ লাখ ১ হাজার ৩৩২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছে দুদক। অবৈধভাবে এ অর্থ অর্জনে সহায়তা করার অভিযোগে তার স্বামী সাইফুজ্জামান শিখরকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

স্ত্রী সীমা রহমানের সঙ্গে সাইফুজ্জামান শিখর।

দশম ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৪ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়েছে, তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে থাকা অবস্থায় অবৈধভাবে ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৬ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ৬৬৮ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

এর বাইরে তিনি সাতটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৪০ কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার ৯৮৫ টাকার সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

সব মামলাতেই আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন- ২০০৪ এর ২৭(১), অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত