Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

কিডনি ডায়ালাইসিস ও ডেঙ্গু পরীক্ষার খরচ কমছে

ss-kidney-2024
[publishpress_authors_box]

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কিডনি ডায়ালাইসিসের সময় ব্যবহৃত অতি গুরুত্বপূর্ণ ফিল্টার ও সার্কিট আমদানির শুল্ক কমানো হয়েছে। ফলে কমতে যাচ্ছে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস খরচ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সেখানেই ডায়ালাইসিস ফিল্টার ও সার্কিটের জন্য নতুন এইচএস কোড তৈরি করে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার কথা বলা হয়।

এছাড়া ডেঙ্গু পরীক্ষায় ব্যবহার হওয়া কিট আমদানির ওপর রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। যা কমাবে ডেঙ্গু পরীক্ষার খরচ।

অর্থমন্ত্রী জানান, নতুন বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৪১ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরে ছিল ৩৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা। অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে ৩ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা।

দেশে ২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্তে হলেও গত বছরে রোগী সংখ্যা এবং মৃত্যুতে আগের সব হিসাব ছাড়িয়ে যায়। চলতি বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কার কথার জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও কিটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা।

কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কিনা সেটা জানার জন্য ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হয়। সেজন্য দরকার হয় এনএস-ওয়ান এবং আইজিএমআইজিজি কিটের। এই কিট আমদানির ওপর শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা সাধারণ মানুষের ডেঙ্গু পরীক্ষার খরচ কমাবে।

আর এ অবস্থাতেই কিট আমদানির ওপর শুল্ক ছাড় দেবার ঘোষণা দিলো সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২০২৫ সালের বাজেট প্রস্তাবকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, “ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি প্রতিবছরই আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌছে যাচ্ছে। ডেঙ্গু কিট আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের জন্য এর আগে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল যা ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে বাতিল হয়ে যায়। ফলে উক্ত প্রজ্ঞাপনের আওতায় অব্যাহতি সুবিধায় ডেঙ্গু কিট আমদানি করা যাচ্ছে না।

“তাই ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে রেয়াতি সুবিধায় ডেঙ্গু কিট আমদানির লক্ষ্যে একটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করার প্রস্তাব করছি।”

এছাড়া ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা রাখা হয়েছে। বাজেটে অর্থমন্ত্রী ওষুধের কাঁচামাল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের (এপিআই) কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধায় নতুন কাঁচামাল সংযোজন এবং চিকিৎসা খাতে বায়ো-হাইজিনিক ইকুইপমেন্ট উৎপাদনে রেয়াতি নতুন পণ্য সংযোজনের প্রস্তাব করেন।

অন্যদিকে হাসপাতালে ব্যবহৃত চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানির শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ বাড়বে।

বাজেটে বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় রোগ নির্ণয় অর্থাৎ রোগ শনাক্ত করার পরীক্ষায় ব্যবহার হওয়া যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তুাব দেওয়া হয়েছে।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “রেফারেল হাসপাতাল কর্তৃক চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ এর পরিবর্তে ১০ শতাংশ ধার্য করার প্রস্তাব করছি।”

সেইসঙ্গে বিভিন্ন অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত স্পাইনাল নিডলের নতুন এইচএস কোড তৈরি করে এতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা এসব পণ্যের দাম বাড়াবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত