Beta
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

ওরিয়নের ওবায়দুল করিমের বিদেশে যাওয়ার বাধা কাটল

ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম।
ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম।
[publishpress_authors_box]

মাস না গড়াতেই আদালতের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে, তাতে ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিমের বিদেশে যাওয়ার বাধা গেল কেটে।

অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর পর আওয়ামী লীগ আমলে প্রভাবশালী রাজনীতিক-ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

এই তদন্তে ওবায়দুল করিমও রয়েছেন। তাই তার বিদেশযাত্রা আটকাতে আদালতে গিয়েছিল দুদক। তাতে ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আদালত ওবায়দুল করিম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।

সেই নিষেধাজ্ঞা তুলতে ওবায়দুল করিম আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেন। সোমবার ঢাকার মহানগর বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব ওই আবেদনে সাড়া দিয়ে ওবায়দুল করিম ও তার স্ত্রী আরজুদা করিমকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেন।

সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, চিকিৎসা এবং ওমরাহ পালনের জন্য বিদেমে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন ওবায়দুল করিম, তার স্ত্রী আরজুদা করিম ও তার মেয়ে জেরীন করিম।

শুনানি শেষে আদালত শুধু ওবায়দুল করিম ও তার স্ত্রীর বিদেশ গমনে অনুমতি দেয় বলে জানিয়েছেন দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

তাদের বিদেশ গমন ঠেকাতে দুদকের আবেদনে বলা হয়েছিল, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য তাদের দেশত্যাগ রহিত করা প্রয়োজন।

গত বছরের আহস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে মাসেই ওবায়দুল করিম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়।

বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বড় প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে আছে ওষুধ, প্রসাধনী, আবাসন, বিদ্যুৎসহ নানা ক্ষেত্রে। ঢাকায় মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ওরিয়ন গ্রুপই তৈরি করেছে। মতিঝিলে দেশের সর্বোচ্চ ভবনটিও তাদের নির্মাণ।

১৯৯৩ সালে নিলামে কোহিনূর কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কেনার মধ্য দিয়ে শিল্প জগতে ঢোকেন ওবায়দুল করিম। এরপর পুঁজিবাজারে কারসাজিতে তার জড়িত থাকার অভিযোগ আসে। তার বিরুদ্ধে বিএসইসি মামলাও করেছিল।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠনের পর বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পের কাজ পায় ওরিয়ন গ্রুপ। এরপর ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর ‘শীর্ষ দুর্নীতিবাজ’ হিসাবে তার নাম আসে আলোচনায়।

তখন একের পর এক মামলা হতে থাকে ওবায়দুল করিমের বিরুদ্ধে। তিনি পালিয়ে থাকলেও তার অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন মামলায় সাজার রায়ও হয়। একটিতে যাবজ্জীবনসহ তিনটি মামলায় তার অন্তত ৪৮ বছর কারাদণ্ডাদেশ হয়।

তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর ওরিয়ন গ্রুপ আবার আগের অবস্থায় ফেরে। হানিফ ফ্লাইওভারের মতো বড় প্রকল্পের কাজ পাওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রও দেওয়া হয় তাদের।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত