Beta
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের তরুণের আবেদনে কক্সবাজারের তরুণীকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হারুন আসাদ মির্জার সঙ্গে আইনজীবী তাসমিয়া নুহিয়া আহমেদ (মাঝে)।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হারুন আসাদ মির্জার সঙ্গে আইনজীবী তাসমিয়া নুহিয়া আহমেদ (মাঝে)।
[publishpress_authors_box]

কক্সবাজারের এক তরুণীকে তার মা-বাবার আটক অবস্থা থেকে উদ্ধার করে নিজের ইচ্ছেমতো পড়াশোনা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য এ মাসের শুরুতে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছিলেন হারুন আসাদ মির্জা নামে যুক্তরাষ্ট্রের এক তরুণ।

এই হেবিয়াস কর্পাসের (বেআইনিভাবে আটক অবস্থা থেকে উদ্ধার করে আদালতে হাজিরের আবেদন) ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ আগামী ২৬ জানুয়ারি ওই তরুণীকে আদালতে উপস্থিত করার আদেশ দিয়েছে।

সেদিন আদালত আটক অবস্থায় থাকা তরুণীর বক্তব্য শুনবে।

একই সঙ্গে তাকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা কেন আইনবহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।

আদেশে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি আদেশে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, কক্সবাজার সদর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাসমিয়া নুহিয়া আহমেদ।

তিনি জানান, ফেইসবুকে বাংলাদেশি ওই তরুণীর সঙ্গে হারুনের পরিচয় হয়। এরপর থেকে তারা বন্ধু।

আইনজীবী তাসমিয়া নুহিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “পরিচয়ের একপর্যায়ে তরুণটি জানতে পারেন, তার ১৮ বছর বয়সী বন্ধু কক্সবাজার থেকে ঢাকা এসে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করতে চাইছেন। কিন্তু তার মা-বাবা তাতে রাজি না হয়ে তাকে ঘরে আটকে রেখেছেন।

“যুক্তরাষ্ট্রের ওই নাগরিক এরপর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সেখান থেকে চলে আসেন বন্ধুকে সাহায্য ও উদ্ধার করার জন্য।”

এই ঘটনায় হাই কোর্টে রিট আবেদন হলে আদালত বিষয়বস্তু দেখে এবং সোমবার শুনানি নিয়ে আদেশ দেয় জানিয়ে তাসমিয়া নুহিয়া বলেন, “তরুণীকে কক্সবাজারে মা-বাবার আটক অবস্থা থেকে উদ্ধার করে ঢাকায় এনে আগামী ২৬ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে আদালতে উপস্থিত করতে বলা হয়েছে।”

ওই দিন আদালত তরুণীর বক্তব্য শুনবে জানিয়ে এই আইনজীবী বলেন, “তিনি কক্সবাজারে মা-বাবার হেফাজতে আছেন। উন্নত জীবনের আশায় ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইছেন।

“কিন্তু কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে তার মা-বাবা তাকে তাদের কাছে রেখে দিয়েছেন।”

এর আগে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) মাধ্যমে সমঝোতা হয়েছিল বলে জানান আইনজীবী তাসমিয়া।

তিনি বলেন, “ব্লাস্ট থেকে তরুণীর মা-বাবাকে বলা হয়েছিল, তাকে যেন কক্সবাজার থেকে নিয়ে এসে তার মায়ের জিম্মায় ঢাকায় পড়াশোনা করানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তার মা-বাবা বিষয়টি অগ্রাহ্য করে। এ বিষয়টিও আমরা আদালতে তুলে ধরেছি।”

প্রাপ্তবয়স্ক একজন নিজের মতো করে জীবন গড়তে চাইছেন, সেই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওই তরুণ হাই কোর্টে এ মাসের প্রথম সপ্তাহে রিট করেন বলে জানান আইনজীবী তাসমিয়া নুহিয়া আহমেদ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত