টানা তৃতীয় দিন কোভিডে মৃত্যু দেখল দেশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার আরও তিন কোভিড রোগীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। এর আগে রবিবার পাঁচজন; শনিবার দুইজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল অধিদপ্তর।
সর্বশেষ তিনজনকে নিয়ে দেশে চলতি বছর কোভিডে মৃত্যু হলো ১৯ জনের। ২০২০ সাল থেকে এ রোগে মোট মৃত্যু হলো ২৯ হাজার ৫১৮ জনের। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৮২৮ জন; নারী ১০ হাজার ৬৯০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কোভিডে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ একজন; নারী দুইজন। তাদের দুইজনের বয়স ৬১-৮০ বছর; একজনের ৯১-১০০ বছর। এ সময়ে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ জন।
সর্বশেষ যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের দুইজন; ঢাকা বিভাগের একজন। একজনের মৃত্যু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে; বাকি দুইজনের বেসরকারি হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছর যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছে সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগের নয়জন আর খুলনা বিভাগের তিনজন। এই ১৯ জনের মধ্যে নারী ১১ জন; পুরুষ ৮ জন। তাদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেছে সরকারি হাসপাতালে, ১৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজন বাসায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪০৬টি; তাতে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ জন। চলতি বছরে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৫২ জন। দেশে এখন পর্যন্ত মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৯৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। দেশে মোট রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি) জানিয়েছে, বাংলাদেশে অমিক্রনের দুটি নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট এক্সএফজি ও এক্সএফসির আবির্ভাব হয়েছে, যা সম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। সব হাসপাতালে করোনার জন্য শয্যা প্রস্তুতের নির্দেশও দিয়েছে। প্রয়োজনে আইইডিসিআর-এর হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে (০১৪০১-১৯৬২৯৩)।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে তিনজন রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় আইইডিসিআর। ১০ দিন পর ১৮ মার্চে প্রথম মৃত্যুর কথাও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।