Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

কোভিড : একদিনে শনাক্ত ৫.৮৩ শতাংশ

কোভিড প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম শুরু করতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
কোভিড প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম শুরু করতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
[publishpress_authors_box]

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও চোখ রাঙাচ্ছে নভেল করোনাভাইরাস। এবার সংক্রমণ বাড়াচ্ছে অতিসংক্রমণশীল ওমিক্রনের উপধরন জেএন.১।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশেও এই জেএন.১ ধরনে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে পাঁচ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশের ১৩ জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে।

৮৮৫ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত মাসেও যা এক শতাংশের নিচে ছিল।

২০২৪ সালের প্রথম দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার বেড়ে ৪ শতাংশের কাছাকাছি উঠে যায়। এরপর গত ১০ জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবেই বেড়ে চলেছে শনাক্তের হার।

সরকারি হিসেবে দেশে এখন পর্যন্ত ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৭২৪ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মোট রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক নয় শতাংশ, নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে মৃত্যু হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।  

২০২০ সালের মার্চে কোভিড শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশে এ রোগে ২৯ হাজার ৪৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভাইরাসটির নতুন উপধরন জেএন.১ কে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (সিডিসি) জানায়, সেদেশে নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের প্রায় ৬২ শতাংশের জন্য দায়ী জেএন.১ উপধরন। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে জেএন.১ উপধরনটি। ইউরোপেও এর আধিপত্য দেখা গেছে। প্রকোপ বাড়ছে এশিয়াতেও।

পাশের দেশ ভারতে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দেশেও বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা।

এ অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শিগগিরই কোভিড প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম শুরু করতে নির্দেশনা দিয়েছে।

অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স বিভাগের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ফাইজারের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রমের  প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ (৩য়, ৪র্থ ডোজ) বিতরণ এবং প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে।”

ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব) জনগোষ্ঠী ও গর্ভবতী নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে বলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত