করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগ তৈরি করার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে দুজন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে সেরে উঠেছেন দুজন, নতুন ধরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৫ জনের মথ্যে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এই হালনাগাদ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে গত ৫ জুন ১ জন কোভিড রোগীর মৃত্যুর খবর এসেছিল। এক সপ্তাহ পরে একসঙ্গে দুজনের মৃত্যু হলো।
যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তারা নারী। তাদের একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর, আরেকজনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। তাদের একজন ঢাকার, অন্যজন চট্টগ্রাম বিভাগের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কোভিডে এখন অবধি মোট মারা যাওয়া ২৯ হাজার ৫০২ জনের ভেতরে ১৮ হাজার ৮১৯ জন পুরুষ এবং ১০ হাজার ৬৮৩ জন নারী।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কোভিড নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭৪টি। তাতে আরও ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে।
এই ১৫ জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে শনাক্ত হলো ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮০০ জন। এখন পর্যন্ত এই মহামারী থেকে সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪০১ জন।
গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৫ জন রোগী ধরা পড়েছে, তাদের নয়জন ঢাকা জেলার, চট্টগ্রামের দুজন, কুমিল্লার দুজন। কক্সবাজার ও ব্রাহ্মবাড়িয়ায় ১ জন করে রোগী ধরা পড়েছে। ৬ বিভাগে এদিন কোনও নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি) জানিয়েছে, বাংলাদেশে অমিক্রনের দুটি নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট এক্সএফজি ও এক্সএফসির আবির্ভাব হয়েছে, যা সম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বুধবার কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। সব হাসপাতালে করোনার জন্য শয্যা প্রস্তুতের নির্দেশও দিয়েছে।
এছাড়া সংক্রমণ বাড়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের হাসপাতালগুলোতে সীমিত পরিসরে ফের কোভিড পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক হালিমুর রশীদ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে যেসব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব রয়েছে, সেখানেই এই পরীক্ষা শুরু হবে।”
অধ্যাপক হালিমুর রশীদ জানান, ১০ দিনের মধ্যে এই পরীক্ষা ব্যবস্থা ফের চালু করা যাবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোয় পরীক্ষা চালু হবে।