কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় ভোটকেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা নিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সরকারের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার ভোটের দিন ঈদগাঁওয়ের পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই যুবকের নাম সফুর আলম (২৮)। তিনি পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মামমোরা পাড়া এলাকার নুর উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টেলিফোন মার্কার সমর্থক দেলোয়ার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে রাখে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা। এ খবরে তাকে বাঁচাতে গেলে সফুর আলমকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে প্রতিপক্ষ।
দেলোয়ার বলেন, তিনি একটি বাড়িতে খাবার খেতে গেলে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা সেখানে তাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারে গেলে সফুর আলমকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিকাল ৪টার দিকে ঈদগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাজ্জাদুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
ষষ্ঠ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া ও ঈদগাঁও উপজেলায় ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়। চকরিয়া, পেকুয়ার সার্বিক নির্বাচন পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ হলেও ঈদগাঁওয়ে দিনব্যাপী বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে দুপুরে একটি কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টাকালে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী সামশুল আলমকে মারধর করা হয়। তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্টে মৌলভী ইয়াছিন হাবিব অভিযোগ, টেলিফোন প্রতীকের সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটায়।
একই সময়ে কেন্দ্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলেন টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী আবু তালেব।
ভোটের দিন দুপুর আড়াইটার দিকে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে অবরোধ করেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী সেলিম আকবার। এসময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ করে তাকে সরিয়ে দেয়।