টানা কয়েকদিনের সরকারি ছুটি থাকলে সবসময়ই দেশের পর্যটকরা ভিড় করেন কক্সবাজারে। এবারও শুক্র-শনি মিলিয়ে ঈদের ছুটি দাঁড়িয়েছে পাঁচদিনে। স্বাভাবিকভাবেই এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজার ভ্রমণে যাচ্ছেন অনেকে।
আর পর্যটকদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত কক্সবাজারও। এরই মধ্যে বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছে হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজগুলো। অগ্রিম বুকিংও শুরু হয়েছে। পর্যটকের নিরাপত্তা ও নিরাপদ ভ্রমণে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষেও নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি।
বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ২০-৩০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। এই বুকিংয়ে খুশি না হলেও ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা ঈদের আগমুহূর্তে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে।
কক্সবাজার আবাসিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, “গত রোজার ঈদে প্রথম ১০দিন ভালো ব্যবসা হয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকে পর্যটক কমেছে। এই অবস্থায় আমাদের অনেক বড় লোকসান গুনতে হয়েছে। কোরবানির ঈদের ছুটিতে পর্যটক আসবেস এবং আমরা লোকসান পুষিয়ে নিতে পারব, এমনটাই আশা করছি।”
সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার মনে করেন, স্কুল-কলেজে পরীক্ষা, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, উপজেলা নির্বাচন ও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে পর্যটকের পরিমাণ এবার কম। তিনিও শেষ মুহূর্তের পর্যটক সমাগম ঘটার প্রত্যাশায় রয়েছে।
পর্যটকদের আগ্রহী করতে এবার হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজগুলো ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বিশেষ ছাড় দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারের তারকামানের হোটেল রামাদার ফ্রন্ট সুপারভাইজার তপু সিং জানান, তাদের হোটেলে এরই মধ্যে ৭০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং হয়েছে। বিভিন্ন কম্বো প্যাকেজের মাধ্যমে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দিচ্ছেন তারা।
হোটেল সায়মন বিচের শতভাগ বুকিং শেষ হয়েছে জানিয়ে ফ্রন্ট ডেস্ক অফিসার সারোয়ার আলম বলেন, “আমরা এই ঈদে গ্রাহকদের সন্তুষ্টির জন্য কতৃপক্ষের নির্দেশে ডিসকাউন্ট দিয়েছি। তাছাড়া বাফেট লাঞ্চ ও ডিনারের ব্যবস্থা করারও সম্ভাবনা রয়েছে।”
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, “বড় বড় ছুটির দিনগুলোয় পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য যেভাবে প্রস্তুতি দরকার এবারও সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যটক কম এলেও নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তার ব্যবস্থা বহাল থাকবে।”