কক্সবাজার উপকূলে সাগর থেকে মৃত প্রাণী আসার মিছিল আরও বড় হচ্ছে।
গত কিছুদিন ধরে মৃত কচ্ছপ ভেসে আসছিল। এবার আরও ১১টি মা কচ্ছপের সঙ্গে একটি ইরাবতী ডলফিন ও একটি রাজকাঁকড়াও এসেছে ভেসে।
রবিবার সকালে সৈকতে বিভিন্ন পয়েন্টে এসব সামুদ্রিক প্রাণী ভেসে আসে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম।
সকালে হিমছড়ি সৈকতে মৃত একটি ইরাবতী ডলফিন ও একটি রাজকাঁকড়া ভেসে আসে।
ডলফিনটি ৬ ফুট লম্বা এবং প্রায় ১২০ কেজি ওজনের বলে জানান তরিকুল।
এছাড়া দরিয়ানগর প্যারাসেইলিং পয়েন্টে ২টি এবং হাজমপাড়া, টেকনাফ সৈকতে দুটি মৃত অলিভ রিডলি মা কচ্ছপ ভেসে এসেছে।
সব প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে বলে জানান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল।
এনিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মৃত ভেসে এসেছে ১০৩টি মা কচ্ছপ। এর মধ্যে গত ১১ দিনেই আসে ৫৯টি। এগুলো থেকে ৭ শতাধিক ডিম সংগ্রহ হয়েছে।
তরিকুল বলেন, “প্রতিটি কচ্ছপই জালের সুতোয় প্যাঁচানো এবং আঘাতপ্রাপ্ত। উপকুলে ডিম দিতে আসার সময় জেলেদের পেতে রাখা জাল, রশিতে এসব কচ্ছপের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি।”
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে উখিয়ার সোনারপাড়া সৈকতে একটি এবং ইনানী সৈকতে একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছিল।
১৫ ফেব্রুয়ারি হিমছড়ি সৈকতে ভেসে আসে আরেকটি মৃত ডলফিন।
১৪ ফেব্রুয়ারি সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ভেসে আসে একটি মৃত পরপইস। এর মধ্যে গত ২১ ফেব্রুয়ারি কুয়াকাটা সৈকতেও একটি মৃত ডলফিন পাওয়া গিয়েছিল।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল বলেন, একের পর এক মা কচ্ছপসহ সামুদ্রিক বিপন্ন প্রাণী ভেসে আসার ঘটনা উদ্বেগজনক।
সাগরে কী হয়েছে, তা নিজের চোখে দেখতে গভীর সাগরে যাওয়ার কথা ভাবছেন তিনি।
তরিকুল বলেন, “বিষয়টি উর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করে গভীর সাগরের পরিস্থিতি দেখতে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।”