রেকর্ডের পালকে নতুন মুকুট যোগ করলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। তার শেষ বেলার গোলে উয়েফা নেশনস লিগে স্কটল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারাল পর্তুগাল। এটা ছিল ৪৮তম দেশের বিপক্ষে রোনালদোর গোল, এমন কীর্তি নেই আর কারও।
একই রাতে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছেন লুকা মদরিচ। ৩৯ বছর বয়সে পা রাখার কয়েক ঘণ্টা আগে তার ফ্রিকিক গোলেই ক্রোয়েশিয়া ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে পোল্যান্ডকে। এটা ছিল মদরিচের ১৮০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ, যা ইউরোপিয়ান ফুটবলারদের মধ্যে রোনালদোর (২১৩ ম্যাচ) পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
নেশনস লিগের ফল
পর্তুগাল ২ : ১ সুইজারল্যান্ড
ক্রোয়েশিয়া ১ : ০ পোল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড ১ : ৪ স্পেন
ডেনমার্ক ২ : ০ সার্বিয়া
সুইডেন ৩ : ০ এস্তোনিয়া
ক্রোয়েশিয়াকে জেতানোর পর নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে মদরিচ বললেন, ‘‘এখন ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরে ভাবছি। যখন মনে হবে আগের আগুনটা নেই তখনই অবসর নিয়ে ফেলব।’’
নেশনস লিগের অপর ম্যাচে স্পেন ১০ জনে পরিণত হলেও ৪-১ গোলে হারিয়েছে সুইজারল্যান্ডকে। এছাড়া সুইডেন ৩-০ গোলে এস্তোনিয়াকে আর ডেনমার্ক ২-০ গোলে হারায় সার্বিয়াকে।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুতে বেঞ্চে ছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। বিরতির আগে পোস্টে ১৬টা শট নিয়েও জালের দেখা পায়নি পর্তুগাল। উল্টো সপ্তম মিনিটে স্কট ম্যাকটোমিনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল স্কটল্যান্ড। বিরতির পর বদলি নেমে ম্যাচের ছবিটা বদলে দেন রোনালদো।
৫৪তম মিনিটে সমতা ফেরান ব্রুনো ফের্নান্দেস। লেয়াওয়ের কাছ থেকে ডি বক্সের বাইরে বল পেয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। ৮২তম মিনিটে চারবার সুযোগ পেয়েও গোলের দেখা পায়নি পর্তুগাল।
প্রথমবার জোয়াও ফেলিক্সের ডাইভিং হেড গোলররক্ষক ঠেকালেও ফিরতি বলে রোনালদোর শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। সেই বল পেয়ে ফের্নান্দেস ক্রস করলে রোনালদোর হেড আবারও লাগে বাম দিকের পোস্টে। ফিরতি বলে নেওয়া ফেলিক্সের শট ঠেকান গোলরক্ষক!
৮৮ মিনিটে আর হতাশা নয়। মেন্দেসের ক্রসে ছুটে গিয়ে পা বাড়িয়ে জালে জড়ান রোনালদো। এটা পেশাদার ক্যারিয়ারে তার ৯০১তম গোল।
আগের ম্যাচে ৯০০ গোল করেপর্তুগিজ তারকা বলেছিলেন করতে চান ১০০০ গোল! ব্রুনো ফের্নান্দেস জানালেন যাত্রা শুরু হলো সেই অভিযানের, ‘‘ রোনালদো ১০০০ গোল করতে চায়। সেই পথের প্রথম গোলটা হয়ে গেল। বাকিটা দেখা যাক।’’
সুাইজারল্যান্ডের বিপক্ষে রবিন লা নরমান্দ ২০তম মিনিটে সরাসরি লালকার্ড দেখলে বাকি সময়টা ১০জন নিয়ে খেলেছিল স্পেন। তারপরও ৪-১ গোলের দাপুটে জয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। জেনেভায় জোড়া গোল করেছেন ফাবিয়ান রুইস। অন্য দুই গোল হোসেলু ও ফেররান তরেসের।