Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ফাটল

চট্টগ্রামের পাঁচ সমন্বয়কের পদত্যাগ

ss-Ctg-leadership-of-anti-discrimination-student-movement-160824
[publishpress_authors_box]

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের নেতৃত্বে ফাটল ধরেছে। বিভিন্ন বিষয়ে সমন্বয়হীনতা ও একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সমন্বয়ক ও চার সহ-সমন্বয়ক পদত্যাগ করেছেন।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চাকসু ভবনের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ বিবৃতিতে তারা লিখিতভাবে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন।

পদত্যাগ করা শিক্ষার্থীরা হলেন- সুমাইয়া শিকদার,  ধ্রুব বড়ুয়া,  আল মাশনূন  সাইদুজ্জামান ও ঈশা দে।

তারা কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ ও সহ-সমন্বয়ক খান তালাদ মাহমুদের বিরুদ্ধে সমন্বয়কের তালিকা বাড়ানো নিয়ে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে না পারা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহিতা না করে একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। নতুন প্রেক্ষাপটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে কোন সমন্বয়ক-সহ সমন্বয়ক পদত্যাগের ঘটনা এই প্রথম।

তারা এমন এক সময়ে গদত্যাগ করলেন যখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি প্রশাসনশূন্য হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ উপাচার্য, প্রক্টরিয়াল বডি, আবাসিক হলের প্রভোস্টরা পদত্যাগ করেছেন। এই অবস্থায় ১৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে কখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে তা অনিশ্চিত। 

সংবাদ বিবৃতিতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে আল মাশনূন বলেন, ছাত্র আন্দোলন চলার সময়ে সমন্বয়কদের সদস্য ছিল ২২ জন। তবে ৫ আগস্ট সদস্য হয়ে যায় ৩০ জন। নতুন যে ৮ জন কমিটিতে যুক্ত হয়েছে তাদের বিষয়ে দুই সমন্বয়ক কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। তারা মনে করেন সমন্বয়করা তাদের কাছে সৎ না। ক্যাম্পাস সংস্কারের কাজে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়েও তারা তৎপর না।  প্রাধ্যক্ষর পদত্যাগ না করিয়ে হলে শিক্ষার্থীদের উঠানোর ব্যাপারে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত।

আল মাশনূন বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ তারাও চেয়েছিলেন। তবে সেটা ধাপে ধাপে আদায়ের সিদ্ধান্ত ছিল। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আগমন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সব ধরনের লেজুড়বৃত্তিক ও দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যবস্থার পর যেন উপাচার্য পদত্যাগ করেন এই দাবি ছিল তাদের। কিন্তু কোনও মতামতকে যাচাই-বাছাই না করেই সমন্বয়করা ক্যাম্পাসের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে ফেলেছে। শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে সমালোচনার সঠিক কোনও প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি কমিটিতে।

লিখিত বক্তব্যে এই পাঁচজন উল্লেখ করেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্বেগকে তারা সম্মান জানান। এ কারণে তারা নিজ নিজ সমন্বয়কের পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। আগামীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে যেসব কর্মসূচি হবে এর সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীর যেকোনো দাবির পক্ষে থাকবেন। দেশ সংস্কারের কাজে প্রয়োজন হলে আবার আন্দোলনে যুক্ত হবেন।

এই পাঁচ সমন্বয়কের অভিযোগের বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ ও সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তারা সাড়া দেননি। পরে বার্তা পাঠালেও উত্তর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত