Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

চবির ভর্তি পরীক্ষায় পছন্দের কেন্দ্র না পেয়ে ভোগান্তি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসছেন পরীক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসছেন পরীক্ষার্থীরা।
[publishpress_authors_box]

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ‘বিভাগীয় শহর’ এ আবেদনকারী অনেকে পছন্দের কেন্দ্র না পেয়ে হয়রানিতে পড়েছেন।

শুক্রবার শুরু হওয়া বিজ্ঞান অনুষদের ‘এ ইউনিটে’ অনেক আবেদনকারী অনলাইনে ফরম পূরণের সময় চট্টগ্রামের বদলে নিজ শহর ঢাকা এবং রাজশাহী পছন্দ করেছিলেন।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের পছন্দ জানতে চাইলেও কেন্দ্র নিজেদের মতো করে ঢাকার বদলে রাজশাহী আবার রাজশাহীর বদলে চট্টগ্রাম কেন্দ্র নির্ধারণ করে দিয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ।

পছন্দের কেন্দ্রই যদি না দেবেন, তাহলে অনলাইনে অপশন দিলেন কেন, এই প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।

ঢাকার বাসিন্দা হাসানুল আলম নামে একজন নিজের সন্তানের ভোগান্তির কথা শুক্রবার জানালেন সকাল সন্ধ্যাকে।

তিনি বলেন, “অনলাইনে এ ইউনিটে আবেদনের সময় আমার সন্তান বিভাগীয় শহর হিসেবে ঢাকায় পরীক্ষা দেওয়ার অপশন চূড়ান্ত করে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি ছিল। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছিল। গতকালই জানলাম তার চট্টগ্রামের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকার বদলে চট্টগ্রামের হাটহাজারী কলেজেই অনুষ্ঠিত হবে।

“শুক্রবার পরীক্ষা শেষ করে বাসায় এসে এখন রাতের মধ্যেই আমাকে চট্টগ্রাম পৌঁছতে হবে। এজন্য বাসের টিকেট কিনতে যাচ্ছি। আর টিকেট ঠিক সময়ে না পেলে আমি শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে পারব না। আর উপস্থিত হতে না পারলে সন্তান ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না।”

ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমি তো ঢাকা সিলেক্ট করেছি, তাহলে কেন আমাকে চট্টগ্রাম পাঠানো হলো?  ঢাকায় দিতে না পারলে অপশন দেওয়া হলো কেন? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কি তামাশা শুরু করেছে?”

রফিউদ্দিন নামের আরেক অভিভাবক সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আবেদনের পরও আমার সন্তানের কেন্দ্র রাজশাহী রাখা হয়নি। এখন আমি রাতারাতি কি রাজশাহী থেকে চট্টগ্রাম যেতে পারব? আর যদি পৌঁছাইও তাহলে তার মনের অবস্থাটা চিন্তা করুন। প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বে্ও সে কি ভালোভাবে বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা দিতে পারবে?

“এক হাজার টাকা ভর্তি পরীক্ষার ফি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি শিক্ষার্থীদের সাথে রসিকতা শুরু করেছে। নাকি ভর্তি বাণিজ্যে নেমেছে? একজন ছাত্র রাজশাহী থেকে চট্টগ্রাম যাবে কিংবা ঢাকা থেকে  খুলনা যাবে, অথচ ভর্তি পরীক্ষাগুলোর মাঝখানে কোনও দিন ফাঁকা রাখা হয়নি।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদনের সময় কর্তৃপক্ষ কেন্দ্র বাছাইয়ের সুযোগ রাখে। একজন শিক্ষার্থী অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করে বলে তাদের যাতায়াতের ভোগান্তি কমাতেই এই পদক্ষেপ।

তারপর এই হয়রানির অভিযোগ নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার এস এম আকবর হোসাইন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এরকম তো হওয়ার কথা নয়। অনলাইনে যার সঠিকভাবে আবেদন করেছেন, সঠিক অপশন দিয়েছেন, তারা তাদের কেন্দ্র পেয়েছেন। আর তা না হলে এ ইউনিটে ৯৯ হাজার ৫২১ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন কীভাবে?”

তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৪ হাজার ৭৯৯ জন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৭ হাজার ৭৯২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন।

তবে সংবাদকর্মী পরিচয় গোপন করে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফোন দিলে জানানো হয়, আবেদনের চেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী থাকায় কিছু সংখ্যক পরীক্ষার্থীকে নিজস্ব পছন্দের কেন্দ্র দেওয়া হয়নি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা চলবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। প্রায় ৫ হাজার আসনে ভর্তির জন্য ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৫৫ শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষা দিচ্ছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত