দীর্ঘ এক মাস পর খুলছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ১৯ আগস্ট থেকে সেখানে শুরু হবে ক্লাস। তার আগে ১৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বুধবার রাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধার কথা বিবেচনা করে ১৬ আগস্ট থেকে শাটল ট্রেন চলাচল শুরু করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৭ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তার প্রায় একমাস পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে যাচ্ছে।
সভায় অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য ১০ আগস্ট থেকে আবেদন নেওয়া শুরু হবে। আবেদন করা যাবে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত।
এরপর ১৭ আগস্ট হলের আসন বরাদ্দ দেওয়া হবে। বরাদ্দ পাওয়া শিক্ষার্থীরা ১৮ আগস্ট হলে উঠবেন। ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের স্থায়ী ঠিকানার দূরত্ব ও পরীক্ষার ফলাফল যাচাই করে এই বরাদ্দ দেওয়া হবে।
যেসব শিক্ষার্থী আগে আবেদন করেছে তাদেরও নতুন করে আবেদন করতে হবে। তবে শিক্ষার্থীদের নতুন করে ফি দিতে হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক শামিম উদ্দিন খান বলেন, “সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বহিরাগত কেউ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবে না। এ ছাড়া দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি ক্যাম্পাস থেকে বন্ধ করতে হবে। আমরা বিষয়টা ধীরে ধীরে কার্যকর করবে।”
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের ও প্রক্টরিয়াল বডিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার রাত থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা পদত্যাগ না করলে বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও এবং অবরোধ করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৩৩০ জন। শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য হল রয়েছে ১৪টি। এর মধ্যে চালু আছে ১২টি। চালু থাকা হলের মধ্যে ছাত্রদের ৭টি, বাকি ৫টি ছাত্রীদের। ছাত্রীদের হলে বরাদ্দ প্রক্রিয়া চলমান। নিয়ম মেনে ছাত্রদের হলগুলোতে সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এরপর বরাদ্দের আবেদন নিলেও সেটি কার্যকর হয়নি।