কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেসের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ যাত্রী।
রবিবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে হাসানপুর স্টেশন সংলগ্ন তেজের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরে সারাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রামের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, “চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেসের ১৮ টি বগির মধ্যে ৯টি বগি লাইন থেকে বেরিয়ে গেছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর অনেক যাত্রী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সড়ক পথে চলে যান।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, “দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের মধ্যে দুইজনকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত। দুর্ঘটনার পরপরই সাধারণ লোকজন সহায়তা করতে এগিয়ে আসায় জানমালের তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।”
রেলওয়ে কুমিল্লার উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রোদের অতিরিক্ত তাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকার তেজের বাজারে রেললাইন বাঁকা হয়ে যায়। যে কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।”
এর ফলে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন মাস্টার জামাল হোসেন। তিনি বলেন, “দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে বিকট শব্দে ট্রেনের বগিগুলো লাইনচ্যুত হয়। এরপর বগিগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের উভয় পাশের লাইনে ছড়িয়ে-ছটিয়ে পড়ে।”
দুর্ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পরে শুরু হয় ট্রেনটির উদ্ধারকার। লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মুরাদ উল্লাহ বাহার জানান, সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় চট্টগ্রাম ও আখাউড়া থেকে দুটি উদ্ধারকারী ট্রেন এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে। তিনি বলেন, “প্রথমে একটি লাইন ক্লিয়ারের চেষ্টা করা হবে। তাহলে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে কত সময় লাগবে তা এখনি বলা যাচ্ছে না।”