কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় কভার্ডভ্যানের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও ছেলেসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মহানন্দ এলাকায় গৌরীপুর সড়কে এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে এক শিশুসহ দুজন। তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন— দাউদকান্দির কালাঘোনা দক্ষিণ নগর গ্রামের প্রয়াত চিত্তরঞ্জন মণ্ডলের ছেলে পীযূষ মণ্ডল (২৮), আনোয়ার খোলা এলাকার প্রয়াত শরাফাত উল্লাহর স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫৫) ও ছেলে মোহাম্মদ শফিউল্লাহ (২৪), দক্ষিণ নগর এলাকার মোহাম্মদ রুহুল আমিনের ছেলে মো. মনির হোসেন (৩৫) এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশাটির চালক ধরজ খোলা এলাকার মোহাম্মদ অহিদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল (৩৮)।
আহত দুজন হলেন— দাউদকান্দির আঙ্গাউড়া গ্রামের বাসিন্দা সাদিয়া (২০) ও শরীফ (৫)।
দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, অটোরিকশায় চালকসহ সাতজন ছিলেন। অটোরিকশাটি গৌরিপুরের দিকে যাচ্ছিল, আর কভার্ডভ্যানটি যাচ্ছিল কচুয়ার দিকে। মহানন্দ এলাকায় কভার্ডভ্যানের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চারজন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও একজন।
তিনি জানান, অটোরিকশার আহত দুই যাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। নিহতদের মরদেহ পুলিশ হেফাজতে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। কভার্ডভ্যানের চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। কভার্ডভ্যান ও অটোরিকশাটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে আমরা চারজনের মরদেহ উদ্ধার করি। হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়।”
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নীলিমা আলম জানান, আহত শরীফের মুখ ও মাথা থেঁতলে গেছে এবং সাদিয়ার হাত ভেঙে গেছে। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।