Beta
বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

শুক্র ও শনিবার ঢাকাসহ ৪ জেলায় ৯ ঘণ্টা শিথিল কারফিউ

বাড়ানো হয়েছে কারফিউ শিথিলের সময়। কাকরাইল থেকে তোলা ছবি - সকাল সন্ধ্যা
বাড়ানো হয়েছে কারফিউ শিথিলের সময়। কাকরাইল থেকে তোলা ছবি - সকাল সন্ধ্যা
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

ঢাকাসহ চার জেলায় শুক্র ও শনিবার ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ঢাকার ধানমণ্ডির বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, শুক্র ও শনিবার ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।

গত দুইদিন এসব এলাকায় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মোট ৭ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল ছিল।

সংবাদ সম্মেলন করার আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

রোববার কারফিউ উঠিয়ে নেওয়া হবে কিনা– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি তো কারফিউ উঠিয়ে নেওয়ার কথা বলিনি। আমরা শিথিল করার কথা বলছি।”

তিনি বলেন, “(কারফিউ) উঠিয়ে দেওয়ার কথা এখনও আসেনি। যখন আসবে, তখন আপনারা জানতে পারবেন, নিজেরাই বুঝতে পারবেন– এখন কারফিউ উঠিয়ে নেওয়ার সময় হয়েছে।”

এর আগে গত বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জনমনে স্বস্তি না ফেরা পর্যন্ত কারফিউ চলবে।

কোনও ধরনের ঘটনা না ঘটায় ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য জেলায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বয় করে কারফিউ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে এ পর্যন্ত কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “এটা তো চলমান প্রক্রিয়া। যে অন্যায় করেছে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

“এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড– পুলিশকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমাদের এক মেয়রের পিএসকে একই কায়দায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এটা তো মানুষের কাজ নয়। তাদের খুঁজে বের করতেই চিরুনি অভিযান করছি।”

তিনি বলেন, “আমরা চাই, যে মানুষ আসলেই দোষী, তাকে বের করার জন্য। যতদিন পর্যন্ত সবাইকে ধরতে না পারব, ততদিন অভিযান চলবে।”

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা দেখা দিলে বিজিবি নামিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে গত ১৯ জুলাই কারফিউ বা সান্ধ্য আইন জারি করে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করে সরকার।

সহিংস আন্দোলনে দেড় শতাধিক মৃত্যুর পর সরকারের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত আসে। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ক্ষমতাবলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং মহানগর এলাকার পুলিশ কমিশনাররা সান্ধ্য আইন জারি করেন।

প্রথম দফায় ১৯ জুলাই শুক্রবার মধ্যরাত ১২টা থেকে ২০ জুলাই শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত একটানা কারফিউ চলে। এরপর দুই ঘণ্টা বিরতি দিয়ে দুপুর ২টা থেকে ২১ জুলাই রবিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত কারফিউ বহাল ছিল। এরপর দুই ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আবার কারফিউ শুরু হয়।

গত সোমবার দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা বিরতি ছিল। এরপর গত মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতি ছিল। বুধবার থেকে শুধু ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে কারফিউ অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত