বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হওয়ার পর উপকূলীয় এলাকায় লঞ্চসহ অন্য সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
শনিবার সন্ধ্যায় দেওয়া এক নির্দেশনায় যেকোনো মুহূর্তে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন।
তিনি বলেন, “সমুদ্র বন্দরগুলোয় ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় সব ধরনের লঞ্চ এবং নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সমুদ্রের সঙ্গে উপকূল জড়িত। সমুদ্রের বাতাস উপকূলে আসে, এ কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
“উপকূল বলতে কক্সবাজার থেকে মহেশখালী, বদ্দারবাড়ি থেকে ইলিশাসহ অন্য সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল। অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরগুলোয় এক নম্বর সংকেত দেখানো হয়েছে। তাই অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরগুলোতে নৌযান চলাচলে এখনও কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।”
পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সাগরে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, গতিমুখ বাংলাদেশ
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলাকে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনায় প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, “আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। উপকূলবর্তী সব জেলাকে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।”
রেমাল সংক্রান্ত তথ্য ও কর্মকাণ্ড সমন্বয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ভবনের ষষ্ঠতলায় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করার জন্য টেলিফোন নম্বর +৮৮০২২২৩৩৫২৩০৬ ও মোবাইল নম্বর ০১৯৫৮৬৫৮২১৩ ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী সব ধরনের নৌযানকে আবহাওয়া সংকেত ও বিআইডব্লিউটিএ জারি করা নির্দেশনা অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।