প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে দেশের উপকূলীয় সাত জেলায় মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রামে একজন করে, বরিশালে তিনজন, পটুয়াখালীতে তিনজন, পিরোজপুরে চারজন, ভোলায় তিনজন রয়েছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন (এনডিআরসিসি) বুধবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাসমূহের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে দেওয়া তথ্যে এ কথা জানায়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল রবিবার রাতে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে। রবিবার রাতে যখন পটুয়াখালীর খেপুপাড়া অতিক্রম করছিল রেমাল, তখন সেখানে ঘূর্ণিবায়ুর গতি রেকর্ড করা হয়েছিল ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার, যা সর্বোচ্চ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রেমালের অগ্রভাগ রবিবার দুপুরেই উপকূলে আসে। মধ্যরাতে কেন্দ্র উপরে উঠে আসে। এরপর ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা ধরে পুরো ঝড়টিই উপরে উঠে আসে। রাতভর চলে তাণ্ডব।
পরদিন সোমবার ঘূর্ণিঝড় থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে রেমাল। রেমালের প্রভাবে মঙ্গলবারও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝরে বৃষ্টি, ছিল ঝোড়ো হাওয়াও।
এনডিআরসিসি বুধবার জানায়, রেমালের আঘাতে দেশের ১৯ জেলায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬৪ জনে।
রেমালের আঘাতে ৪০ হাজার ৩৩৮টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে এবং আরও ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৮টি ঘরবাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে এনডিআরসিসি জানায়, রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ১৯ জেলা হচ্ছে– খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, যশোর ও শরীয়তপুর।
জেলাগুলোর মধ্যে খুলনার ১০, সাতক্ষীরার ৭, বাগেরহাটের ৯, ঝালকাঠির ৪, বরিশালের ১০, পটুয়াখালীর ৮, পিরোজপুরের ৭, বরগুনার ৬, ভোলার ৭, ফেনীর ১, কক্সবাজারের ৯, চট্টগ্রামের ১৫, নোয়াখালীর ৫, লক্ষীপুরের ৫, নড়াইলের ১, গোপালগঞ্জের ৫, যশোরের ৪ এবং শরীয়তপুরের ৬টি উপজেলাসহ মোট ১১৯টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানায় এনডিআরসিসি। বাসস।