Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫

সাগরে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, গতিমুখ বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল আসার আগে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা উপকূল।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল আসার আগে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা উপকূল।
[publishpress_authors_box]

বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে, এটি নাম পেয়েছে রেমাল।

ক্রান্তীয় এই ঘূর্ণিঝড় শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে রবিবার রাত নাগাদ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তখন এতে বাতাসের শক্তি উঠতে পারে ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।

ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য গতিপথ দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের বাগেরহাট-পটুয়াখালীর দিকে; তবে দেশের গোটা দক্ষিণ উপকূল থাকবে ঝড়ের প্রভাব বলয়ে।

ঘূর্ণিঝড়টি এখনও উপকূল থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে; তাতেও সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় দেশের পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

সাগরে ঝড় দেখে শনিবার জরুরি বৈঠকে বসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। রবিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে। ঝড় মোকাবেলার প্রস্তুতির অংশ হিসাবে উপকূলের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো তৈরি করছে সরকার, ব্যবস্থা করছে খাবারের।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার শনিবার রাতে জানায়, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

যেভাবে উৎপত্তি

মে মাসের শেষ নাগাদ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে, এমন আভাস আগেই দিয়েছিল ভারতের আবহাওয়াবিদরা। সেই তথ্য বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমেও এসেছিল।

এরপর গত ২০ মে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দুই দিন পর অর্থাৎ ২২ কিংবা ২৩ মে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

২২ মে লঘুচাপ সৃষ্টির কথা নিশ্চিত করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সময়ে লঘুচাপটির অবস্থান ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায়। পরদিন বৃহস্পতিবার দেশের নদী বন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়।

এই লঘুচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে সুষ্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। তারপর তা আরও ঘনীভূত হয়ে পরিণত হয় নিম্নচাপে। এর প্রভাবে সাগর কিছুটা উত্তাল থাকায় ২৪ মে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়।

নিম্নচাপটি এর মধ্যে আরও গভীর হয়। গভীর নিম্নচাপটি ২৫ মে শনিবার রাতের প্রথম ভাগেই এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে।

তবে তখনও ভারতের আবহাওয়া বিভাগ এবং বাংলাদেশ আবহাওয়ার অধিদপ্তর এটাকে ঘূর্ণিঝড়ের আগের ধাপ অর্থাৎ গভীর নিম্নচাপ হিসাবেই দেখাচ্ছিল।

নাম কেন রেমাল

একটা সময় ছিল যখন ঘূর্ণিঝড়ের কোনও নাম ছিল না। একটি ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানার সময় বা তারিখ দিয়েই পরবর্তী সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি নির্ণয়ের কাজ করতেন আবহাওয়াবিদরা। একাজে জটিলতা কমাতে প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়েরর এখন নাম দেওয়া হচ্ছে।

২০০৪ সালে এই চল শুরু করে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও )। নাম নির্ধারণে পাঁচটি বিশেষ আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার (আরএসএমসি) সঙ্গে সমন্বয় করে ডব্লিউএমও। আরএসএমসি তার সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে সম্ভাব্য নামের তালিকা চায়। তারপর সেটার সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ডব্লিউএমওর কাছে পাঠায়।

বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা অনুমোদন করে আঞ্চলিক কমিটির একটি প্যানেল। তার নাম ডব্লিউএমও/এসকাপ প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোনস।

তবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা হয়। যেমন নামগুলো রাজনীতি, ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও লিঙ্গ নিরপেক্ষ হতে হয়। বিশ্বের কোনও অঞ্চলের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করে, এমন নাম দেওয়া যায় না। নাম রূঢ় হওয়া যাবে না। সংক্ষিপ্ত ও সহজে উচ্চারণ করা যায়, এমন হতে হবে। নামে থাকতে পারে সর্বোচ্চ আটটি বর্ণ, পাশাপাশি দিয়ে দিতে হয় উচ্চারণও।

এরপর সদস্যরাষ্ট্রগুলোর ইংরেজি নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা হয়।

এবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘রেমাল’ এসেছে আরব সাগরের পাড়ের দেশ ওমানের প্রস্তাব থেকে। শব্দটি আরবি, এর অর্থ বালু।

সম্ভাব্য ঝড়ের নাম আগেই দেশগুলোর প্রস্তাব থেকে ক্রমানুসারে ঠিক করে রাখা থাকে। যেমন ক্রান্তীয় অঞ্চলে এর আগের ঘূর্ণিঝড়টির নাম ছিল মিচুয়াং, নামটি মিয়ানমারের দেওয়া। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির পরে গত বছরের নভেম্বরের শেষ দিকে মিচুয়াং আঘাত হেনেছিল ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলে। ঝড়টি তেমন শক্তিশালী ছিল না। রেমালের পর এই অঞ্চলে যে ঘূর্ণিঝড় আসবে, সেটি নাম পাবে আসনা। এই নামের প্রস্তাবক পাকিস্তান।

আছে কোথায়

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল।

ওই সময় ঘূর্ণিঝড়টি পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে দূরত্ব ছিল ৪০৫ কিলোমিটার। এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এটি ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি বিকাল নাগাদ বাংলাদেশের পটুয়াখালীর খেপুপাড়া থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের সাগরদ্বীপ থেকেও একই দূরত্বে ছিল ঝড়টি।

আবহাওয়ার তথ্যে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা বেগ রয়েছে এখন ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটারের মতো, যা দমকা হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগের দেখানো ঘূর্ণিঝড় রেমালের সম্ভাব্য গতিপথ।

গতিমুখ কোন দিকে

ঘূর্ণিঝড়টি গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, উপকূল অতিক্রমের সময় রেমালের কেন্দ্র থাকবে বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়া থেকে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ। তবে এর প্রভাব বলয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের গোটা দক্ষিণ উপকূল থাকবে।

জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার সম্ভাব্য যে গতিপথ দেখাচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এর কেন্দ্রের আঘাত হবে বাংলাদেশের বাগেরহাট উপকূল।

রেমাল যখন লঘুচাপ ছিল, তখনকার অবস্থান থেকে এটি উত্তর-পশ্চিমে সরে আসে। ২৪ মে দিনের পুরোটা সময় এটি খানিকটা বেঁকে এগিয়েছে। এরপর এর সম্ভাব্য গতিপথ দেখা যাচ্ছে প্রায় সরল রেখায় বাংলাদেশের দিকে।

বাংলাদেশ উপকুলে গত কয়েক বছরে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর বেলায় এমনটা দেখা যায়নি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঝড়গুলো বেঁকে গিয়েছিল এবং মূল আঘাত ছিল ভারত উপকূলে।

তবে ২০০৯ সালের ২৫ মে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আইলার সঙ্গে রেমালের গতিপথের মিল দেখছেন ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক অ্যান্ড মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের (নোয়ামি) নির্বাহী পরিচালক এবং সাউথ এশিয়ান মেটিওরোলোজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (সামা) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মোহন কুমার দাশ।

দুটি ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তিও বছরের একই সময়ে। শক্তিতেও আইলা ছিল রেমালের মতো। আইলায়ও বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের মতো।

সিডরের এক বছর পর আঘাত হানা আইলায় প্রাণহানি অনেক কম হলেও তাতে উপকূলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ধসে গিয়েছিল এবং যার জের টানতে হচ্ছে এক যুগ পরেও।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগের দেখানো ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব বলয়।

এগোচ্ছে কত গতিতে

রেমাল শনিবার রাতে যে অবস্থানে ছিল, তখন তা উত্তরপূর্ব দিকে ঘণ্টায় প্রায় ১৮ কিলোমিটার গতিতে এগোচ্ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার বিকাল থেকে আগের ৬ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি এগোচ্ছিল ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার গতিতে।

বর্তমান গতিতে এগোলে এই ঘূর্ণিঝড়ের উপকূলে আসতে ২২ ঘণ্টা লাগার কথা। কিন্তু সাধারণত ঘূর্ণিঝড় উপকূলের যত কাছাকাছি আসে, এর গতিও তত বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়ে শক্তি।

শক্তি কতটা বাড়বে

ঘূর্ণিঝড়টি যতই উপকূলের দিকে এগোচ্ছে, এর শক্তিও ততটা বাড়ছে। রবিবার রাত নাগাদ এটি ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার বাতাসের তীব্রতা নিয়ে আঘাত হানতে পারে বলে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে।

জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, শনিবার রাতে এটি যখন ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তখন এর কেন্দ্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটারের মতো, যা দমকা হাওয়ার আকারে ৮৩ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।

উপকূলে আঘাত হানার সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের বেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ থেকে কিলোমিটার। তখন দমকা হাওয়ার ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

শক্তির বিচারে সামুদ্রিক ঝড়গুলোর যে শ্রেণীভেদ আবহাওয়া বিজ্ঞানে করা হয়, তাতে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়কে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলে। যখন কোনও ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়, তখন তাকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়ে থাকে।

২০২০ সালে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আম্পান সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছিল। তবে রেমালের ক্ষেত্রে অতটা বিধ্বংসী হওয়ার আভাস এখনও মেলেনি।

এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, রেমালের শক্তিমত্তা প্রবল ঘূর্ণিঝড় পর্যন্ত উঠবে। তবে উপকূলের কাছাকাছি এসে ঘূর্ণিঝড়ের হঠাৎ শক্তি বেড়ে যাওয়ার নজিরও রয়েছে বলে একে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই।

বৃষ্টি আর জোয়ারের শঙ্কা

রেমাল উপকূল হয়ে দেশের মধ্যাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাবে। ফলে প্রায় সারাদেশেই বৃষ্টি হতে পারে। উপকূল ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করেছে।

ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা স্বাভাবিকের বেশি এক মিটার বেশি উঁচু জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে বলে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৫ ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ার হতে পারে।

সাগর এখনই উত্তাল হয়ে ওঠায় সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরে পড়তে বলা হয়েছে।   

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানোর পাশাপাশি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পরিস্থিতি দেখে মহাবিপদ সংকেত জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

কী প্রস্তুতি

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে শনিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জরুরি বৈঠকে বসে। রবিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী মহিববুর সাংবাদিকদের বলেন, “ঘূর্ণিঝড় আসন্ন, সেটা মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আমাদের কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছি।”

সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো উপকূলই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, সেটা ধরেই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

উপকূলীয় জেলায় প্রায় চার হাজার আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি জেলায় গুদামে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছে।

ঝড়ের পরই কি বর্ষা

প্রচুর জলীয় বাষ্প নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বাংলা দক্ষিণ এশিয়ায় ঢুকলেই নামে বর্ষা। সাধারণত জুন মাসে বাংলাদেশে সেই মৌসুমী বায়ু আসে।

এবার মৌসুমী বায়ু সময়মতোই আসছে বলে ভারতের আবহাওয়া বিভাগের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে।

তাতে দেখা যাচ্ছে, মৌসুমী বায়ু শনিবার নাগাদ শ্রীলঙ্কা অবধি পৌঁছে গেছে। এটি ৫ জুন নাগাদ বাংলাদেশে পৌঁছে যাবে।

তাতে বাংলাদেশে এবার বর্ষা সময়মতোই হচ্ছে বলে ধারণা করা যায়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত