তাহলে কারচুপি করে দাবায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ডি গুকেশ! রাশিয়ার দাবা ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই ফিলাতোভ করলেন গুরুতর এই অভিযোগ। তার দাবি ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাচ হেরেছেন চিনের ডিং লিরেন। আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশনকে তদন্তও করতে বলেছেন এজন্য।
১৩টি গেম শেষে গুকেশ ও লিরেনের পয়েন্ট সমান ছিল। ১৪তম ম্যাচ ড্র হলে টাইব্রেকার হতো দুজনের। কিন্তু সেই ম্যাচে ৫৫তম চালে মারাত্মক ভুল করে ফেলেন লিরেন। যা দেখে কিছুটা অবাক হয়ে যান গুকেশও। আর লিরেনের ৫৫তম চালের ভুলটি নিয়েই অভিযোগ ফিলাতোভের।
এ নিয়ে ফিলাতোভ বললেন, “গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চিনা খেলোয়াড়ের সিদ্ধান্ত রীতিমতো সন্দেহজনক। এটা নিয়ে আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থার আলাদা তদন্ত করা উচিত। ডিং লিরেনের থেকে এরকম ভুল আশা করা যায়নি। সাধারণ কোন খেলোয়াড়ও এই ভুল করবে না। তার হেরে যাওয়ায় অনেক প্রশ্ন উঠছে। দেখে তো মনে হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে হেরেছে।”
নিজের ভুল নিয়ে অবশ্য লিরেন বলেছেন, “একটা চালে ভুল করে ফেলি চাপের কারণে। তার পরেই গুকেশের মুখ দেখে বুঝতে পারছিলাম, ও কতটা আনন্দ পেয়েছে। তখন আর আমার কিছু করার ছিল না।”
লিরেন যে ভুল চাল দিয়েছেন সেটা বুঝতেও কয়েক সেকেন্ড সময় লেগেছিল গুকেশের। এ নিয়ে তার বিস্ময়, “আমি বুঝতে পারিনি লিরেন এত বড় ভুল করেছে। কয়েক সেকেন্ড পরে বুঝতে পারি। কাজে লাগাই সেটাই।”
২০১১ সালে ভারতের ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ প্যাডি আপটন। ডি গুকেশও দাবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেন সেই আপটনের মন্ত্রেই। ১২তম রাউন্ডে হেরে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন গুকেশ। এর আগের কয়েক রাত ঠিক মতো ঘুমাতে পারেননি তিনি। গুকেশ বুঝতে পেরেছিলেন মানসিক ভাবে আরও শক্তিশালী হতে হবে।
এরপর কথা বলেন আপটনের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সেই আপটনকে নিয়ে বললেন, “আমার ঠিক মতো ঘুম হচ্ছিল না। ১২তম ম্যাচের পর বিশ্রামের দিন আপটনের সঙ্গে কথা বলি। উনি আমাকে কয়েকটা পরামর্শ দেন। সেগুলো কাজে লেগেছে। পরের দুটো ম্যাচে মানসিক ভাবে আমি অনেক বেশি তরতাজা হয়ে নেমেছি।”
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে গুকেশের মোট প্রাপ্তি ১৩.৫ লক্ষ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৫ কোটি টাকার মতো। হারলেও লিরেন পেয়েছেন ১২ কোটি টাকার মতো।
