ধর্ষণের দায়ে সাড়ে ৪ বছরের জেল হয়েছে দানি আলভেসের। যদিও ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের জেলের শাস্তি আরও বাড়তো যদি তিনি ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে না পারতেন। ভুক্তভোগী তরুণীকে ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কারণেই আলভেসের কারাদণ্ডের সময় কমেছে। ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ইউওএল জানাচ্ছে, তার এই ক্ষতিপূরণের অর্থ দিয়েছেন নেইমার।
ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভুক্তভোগী তরুণীর আইনজীবী আলভেসের ১২ বছরের কারাদণ্ড চেয়েছিলেন। অন্যদিকে স্পেনের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিরা চেয়েছিলেন ৯ বছরের জেল। যদিও স্পেনের কাতালুনিয়ার উচ্চ আলাদত রায়ে সাড়ে ৪ বছরের জেল দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। সঙ্গে ভুক্তভোগীকে ১ লাখ ৫০ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দেন।
আদালত রায় ঘোষণা আগেই জানিয়েছিলেন, আলভেস যদি ক্ষতিপূরণের অর্থ দিতে পারেন তাহলে তার সাজা কমবে। কিন্তু ভুক্তভোগী তরুণীকে যে তিনি অর্থটা দেবেন, সেই অবস্থা ছিল না সাবেক বার্সেলোনা রাইট-ব্যাকের। কারণ ব্রাজিল থেকে অর্থ আনার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে আলভেসের পাশে দাঁড়ান নেইমার।
ব্রাজিল ও বার্সেলোনার সাবেক সতীর্থের সঙ্গে নেইমারের সম্পর্ক দারুণ। বিপদের মুহূর্তে তিনি এগিয়ে আসেন। ইউওএল-এর খবর, গত ৯ আগস্ট ক্ষতিপূরণের টাকা আদালতে পাঠিয়ে দেন নেইমার। যেটি তার শাস্তি কমাতে ভূমিকা রেখেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলভেসের সাজার মেয়াদ কমানোর জন্য ভুক্তভোগীকে টাকটা দিতে বলা হয়েছিল।
আলভেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার এক নৈশক্লাবে তিনি ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছিলেন। ওই তরুণী মামলা করলে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে গ্রেপ্তার হন ৪০ বছর বয়সী তারকা। তখন থেকেই স্পেনে কারাজীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। এই ঘটনার রেশ ধরে তাকে ডিভোর্স দেন স্ত্রী দিনোরাহ সানতালা। এরপর আদালতের নির্দেশে ব্রাজিলে তার সব সম্পত্তি জব্দ করা হয়।
ফলে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার অবস্থা আর থাকে না আলভেসের। এই অবস্থায় এগিয়ে আসেন নেইমার। ইউওএল জানাচ্ছে, তার বাবার প্রতিষ্ঠানের আইনজীবীর মাধ্যমে কাতালুনিয়ার আলদাতে টাকাটা পাঠিয়ে দেন আল হিলাল ফরোয়ার্ড। এ বিষয়ে নেইমারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনও মন্তব্য পায়নি ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমটি।