Beta
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

চাপ নেই, নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রার জন্য প্রস্তুত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ

ফেরি
যানবাহন নিয়ে পার হচ্ছে একটি ফেরি। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

দুই বছর আগেও দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ। ২১ জেলার লাখো মানুষকে নদী পারাপারের জন্য ফেরি ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে সেই দুর্ভোগ বেড়ে যেত কয়েক গুণ। তীব্র যানজটে নাকাল হতে হতো শিশু-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষকে।

পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পর পাল্টে গেছে সেই দৃশ্য। এখন আর ঘাটে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়না। দীর্ঘ সময়ের ভোগান্তির পর অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে এই নৌপথ ব্যবহারকারী যানবাহন ও যাত্রীদের।

সংশ্লিষ্ট ২১ জেলার বেশিরভাগ মানুষ এখন পদ্মা সেতু ব্যবহার করলেও কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার কিছু যাত্রীবাহী পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাক এখনো ফেরি পথটি ব্যবহার করে।

সাধারণ সময়ে প্রতিদিন এই নৌপথ ব্যবহার করে দেড় থেকে দুই হাজার যানবাহন। তবে ঈদের সময় তা বেড়ে হয় প্রায় দ্বিগুণ।

এই যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি ও স্থানীয় প্রশাসন। এবার দৌলতদিয়ায় প্রস্তুত থাকবে তিনটি ঘাট ও ১৫টি ফেরি। যাত্রী ভোগান্তি ও নিরাপত্তার জন্য কঠোর নজরদারির করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

দৌলতদিয়া ঘাটে কথা হয় কুষ্টিয়ার ট্রাকচালক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে।

তিনি বলেন, “পদ্মা সেতু চালুর পর ভোগান্তি নেই এই ফেরিঘাটে। অথচ আগে এমনও হয়েছে যে ঘাটে তিন-চার দিন অপেক্ষার পর ফেরিতে উঠতে পেরেছি। সেই দিন পেরিয়েছে। গত দুই ঈদে ভোগান্তি ছাড়া পার হতে পেরেছি। এবারও আশা করছি কোনও ভোগান্তি হবে না এই ঘাটে।”

মাগুরা থেকে আসা আরেক ট্রাক চালক আফজাল বেপারী বললেন, এই রুটে গাড়ির চাপ এতই কমেছে যে এখন উল্টো ফেরি বসে থাকে গাড়ির অপেক্ষায়।

গত দুই ঈদে কোনও ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি যেতে পেরেছেন বলে জানালেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজীব আহমেদ।

তিনি বলেন, “ঈদের আগে সবক’টি ফেরি চলাচল করলে কোনও ভোগান্তি হবে না। এজন্য আমাদের দাবি ফেরিগুলো যেন সচল থাকে।”

ঈদে যাত্রী ও যানবাহনের নির্বিঘ্ন পারাপার নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, “সাতটি ঘাটের মধ্যে তিনটি ঘাট ও ১৫টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া যানবাহনের বাড়তি চাপ কমাতে ঈদের তিন দিন আগে ও পরে বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার। আশা করছি ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতেই পারাপার হতে পারবে।”

ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশের প্রস্তুতির কথা জানালেন রাজবাড়ী পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, “ঈদের সময় অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায়। প্রতারক চক্র মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, ছিনতাইয়ের ঘটনাও বেড়ে যায়। যে কারণে ঘাট এলাকায় আমাদের চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত