ভিসা প্রক্রিয়া করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন লিটন মিয়া (৩৬)। এরপর প্রতিশোধ নিতে নিজেই হয়ে যান প্রতারক। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর লিটন মিয়া নিজে এ তথ্য জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
এ ঘটনায় লিটনসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। অন্য দুইজন হলেন– মো. বেল্লাল হোসেন (৪৭) ও মো. রিয়াজ শেখ(৩৫)। ১৪ মার্চ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, একটি কম্পিউটার ও চেকবইসহ ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিসকাউন্টে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকেট বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে অন্তত চার লাখ মানুষকে প্রতারণার টোপে ফেলেন এই লিটন। সাশ্রয়ী দামে টিকেট বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিতেন, আর সরবরাহ করতেন জাল টিকেট। বিশেষ করে প্রবাসীদের ফাঁদে ফেলে লিটন মাসে লুফে নেন তিন লাখ টাকা।”
প্রতারক লিটনের বিষয়ে ডিবি জানিয়েছে, লিটন মিয়া পড়াশোনা করেছেন চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত। দেশে পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১২ সালে কুয়েতে গাড়িচালক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। দেশে ফিরে লিটন ভিসা প্রক্রিয়ো করতে দেন। কিন্তু একজন লিটনের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশ চলে গেলে প্রতিশোধ নিতে নিজেই প্রতারণার কাজে নেমে পরেন তিনি।
গ্রেপ্তার লিটনের দেওয়া তথ্য তুলে ধরে ডিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, “বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা প্রবাসীরা সাধারণত দেশে আসার সময় কম দামে টিকেট খুঁজেন। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ পার্সেন্ট ছাড়ে টিকেট বিক্রির ফাঁদ পাতে লিটন। এভাবে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া লিটনের মাসিক আয় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা।”
ভ্রমণকারীদের সচেতনতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন প্যাকেজের অফার দেওয়া হচ্ছে। কম দামে ৩-৪ দেশ ঘোরানোর কথা বলা হচ্ছে। দেখা গেলো টিকেট ভুয়া, হোটেল বুকিংয়ের কাগজও ভুয়া দিয়ে দেবে। তাই এমন প্যাকেজ দেখলে যাচাই-বাছাই করে টাকা দেবেন।”