বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে কর্মস্থল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম।
রবিবার তিনদিনের ছুটি নিয়ে ঝিনাইদহ ছেড়ে যান তিনি। একই সময়ে সরে যান ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ও সদর থানার উপপরিদর্শক ফরিদ।
দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা জেলা প্রশাসকের দুর্নীতি, দলীয়করণ, ঘুষ বাণিজ্য ও অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য পাচারের অভিযোগ এনে তার কার্যালয় ঘেরাও করে।
তারা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন।
তাদের তোপের মুখে জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম তিনদিনের ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ছেড়ে যান।
তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর বিলুপ্ত করা হয় সংসদ, গঠন করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পুলিশ ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে শুরু হয় রদবদল। ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে গত ১০ আগস্ট আন্দোলনকারীদের ঢল নামে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে। তাদের দাবির মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানও।
ঝিনাইদহের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রবিবার দেখা করেন জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গেও। তারা সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আবিদুর রহমান ও সদর থানার এসআই ফরিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাদের অপসারণের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে ঝিনাইদহ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান। এরপর সেখান থেকে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশের সুপারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু হুরায়রা, সাইদুর রহমান, এলমা খাতুন, রত্না খাতুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এসএম সোমেনুজ্জামান সোমেন, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ, ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন, বখতিয়ার মাহমুদ, মাহবুব আলম মিলু ও সাকিব আল হাসান, আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ছাত্র নেতারা।