Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

মৃত বিএনপি নেতা সহিংসতার মামলায় আসামি

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের জের ধরে সহিংসতা ছড়ায় সাভারেও। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের জের ধরে সহিংসতা ছড়ায় সাভারেও। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

সাভার মডেল থানার একটি গাড়ি পোড়ানোর মামলার আসামি করা হয়েছে দেড় বছর আগে মারা যাওয়া আশুলিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজগর হোসেনকে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলনের জের ধরে সৃষ্ট সহিংস অবস্থার মধ্যে গত ১৮ জুলাই রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে চারটি বাস ও একটি ট্রাকে আগুন দেওয়া।

ওই আগুনে পুড়ে যায় জাহাঙ্গীর পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস। ঘটনার ছয় দিন পর ২৪ জুলাই সাভার মডেল থানায় ওই বাসটির সুপারভাইজার আলমগীর বাদী হয়ে ৫৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

এই মামলারই ৬ নম্বর আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ করা হয়েছে আজগর আলীর (৩৫)। মামলায় তার বাবার নাম উল্লেখ করা হয়েছে মৃত আফছার উদ্দিন এবং ঠিকানা সাভার পৌর এলাকার বি/১১৮ জালেশ্বর।

অথচ আজগর হোসেন মারা গেছেন ২০২২ সালে ১১ ডিসেম্বর। ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আজগর ছিলেন পাথালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং আশুলিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি।

মৃত স্বামীর নামে মামলার খবর পেয়ে বিস্মিত আজগরের স্ত্রী সোহেলি সুলতানা। তবে তিনি জানালেন, মামলায় তার শ্বশুরের নাম ঠিক লেখা হলেও স্বামীর নাম লেখা হয়েছে ভুল। আলী নয়, তার স্বামীর পদবী ছিল হোসেন।

আবার মামলায় যে ঠিকানা লেখা হয়েছে সেটিও সঠিক নয়। পৌর এলাকার বি/১১৮ জলেশ্বর ঠিকানায় আজগর আলী নামে কাউকে পাওয়া যায়নি। ওই বাড়ির মালিক মফিজ উদ্দিন বলেন, “এই বাসায় আজগর আলী নামে কেউ থাকে না, আগেও কখনও ছিল না।”

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী আলমগীর বলেন, “আমি মামলা দিতে চাইছিলাম না, কারণ আমি কাউকে চিনি না জানি না, কার নামে মামলা দেব? কিন্তু থানা থেকে বলেছে, মামলা না করলে পোড়া গাড়ি পাওয়া যাবে না। পরে বাধ্য হয়েছি মামলা করতে।

“আমি তো শুধু নিজের নামটা কোনও রকমে সই করতে পারি। এত কিছু হবে তা তো আমি বুঝিই নাই। আগে জানলে কখনো বাদী হতাম না।”

মামলার আসামি হিসেবে মৃত ব্যক্তির নাম বা ভুল ঠিকানা ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান বলেন, “প্রিন্টিং মিসটেক বা তথ্যে ভুলের কারণে এমন হতে পারে। তদন্তের মাধ্যমে ভুল সংশোধন করে তারপরই আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত