Beta
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫

হাসপাতালের টয়লেটে মিলল নিখোঁজ রোগীর লাশ

বাবুল বেপারীর স্বজনদের আহাজারি। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
বাবুল বেপারীর স্বজনদের আহাজারি। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের টয়লেট থেকে বাবুল বেপারী (৪০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে হাসপাতালের তৃতীয় তলার মেডিসিন ওয়ার্ডের টয়লেটে মরদেহটি পাওয়া যায়।

বাবুল বেপারী বরিশালের মুলাদী উপজেলার পূর্ব তয়কা এলাকার আলী বেপারীর ছেলে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে তার স্বজন ও হাসপাতালের অন্য রোগীরা জানিয়েছেন।

বাবুল বেপারীর স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন বাবুল বেপারী। তার সঙ্গে ছিলেন বৃদ্ধা মা রোকেয়া বেগম। ওইদিন মধ্যরাতে রোকেয়া বেগম ঘুমিয়ে পড়ার পর ঘুম থেকে উঠে শয্যায় আর ছেলেকে দেখতে পাননি।

পরে হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে একপর্যায়ে বিষয়টি নার্সদের জানান। তবে ছেলের খোঁজ না পেলে শুক্রবার সকালে বাড়ি চলে যান রোকেয়া। পরে বিকালে আবার হাসপাতালে গিয়ে ছেলের খোঁজ করেন।

এর মধ্যে শনিবার সকালে অন্য রোগীরা টয়লেটে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে বাবুল বেপারীকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

হাসপাতালে বাবুল বেপারীর পাশের শয্যায় ভর্তি থাকা রোগী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে তিনি নিখোঁজ থাকলে আমরাও চারপাশে খোঁজাখুঁজি করি। টয়লেটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় কেউ খোঁজ করেনি। পরে শনিবার সকালে টয়লেট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।”

বাবুল বেপারীর ভাতিজি হেনা আক্তার অভিযোগ করেন, “আমার চাচ্চু গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি বাথরুমে গিয়ে যদি মারাও যান, তাহলে এই দুইদিন বাথরুম পরিষ্কার করা হয়নি। বাথরুম পরিষ্কার করলে ঠিকই আমার চাচ্চুকে আগে খুঁজে পাওয়া যেত। তারা (হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) চাচ্চুকে না খুঁজে উল্টো রোগীকে পাওয়া যায়নি বলে আমার দাদিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।”

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ কোনও লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত