Beta
শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫

সৈকতে আরও ২ মৃত কচ্ছপ, পেটে ১৮৫ ডিম

ছবি : সকাল সন্ধ্যা
ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আরও দুইটি মৃত কচ্ছপ ভেসে এসেছে। তাদের পেটে পাওয়া গেছে ১৮৫টি ডিম।

মঙ্গলবার সকালে উখিয়ার সোনাপাড়া সৈকতে সর্বশেষ দুটি মৃত কচ্ছপ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম।

তরিকুল ইসলাম জানান, “কচ্ছপ দুটি অলিভ রিডলি প্রজাতির। এদের পেটে ১৮৫টি ডিম ছিল। কচ্ছপ দুটির সামনের ও পিছনের ফ্লিপারগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ডিম দিতে উপকূলে আসার সময় জালে বা অন্য কোনওভাবে আঘাত পেয়ে এদের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের দেওয়া তথ্য মতে, এ নিয়ে গত ৬ দিনে সমুদ্র উপকূলে মোট ৮টি মৃত কচ্ছপ ভেসে এসেছে। কচ্ছপগুলোর পেটে সব মিলিয়ে পাওয়া গেছে ৭০০ ডিম। জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সৈকতে সর্বমোট ৩১টি মৃত কচ্ছপ ভেসে এসেছে যার সবগুলোরই পেটে ডিম ছিল।

মা কচ্ছপের পাশাপাশি সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গেছে ৩টি মৃত ডলফিন ও ১টি মৃত শুশুক। গত শুক্রবার সকালে উখিয়ার সোনারপাড়া সৈকতে একটি এবং ইনানী সৈকতে একটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। বৃহস্পতিবার হিমছড়ি সৈকতে ভেসে আসে একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন। বুধবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ভেসে আসে একটি মৃত পরপইস বা শুশুক।

এ পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক তৌহিদা রশীদ। তিনি বলেন, “কয়েকদিন ধরে ভেসে আসা মৃত সামুদ্রিক প্রাণীগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন। বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

এর আগে গত বছরের ৩০ মার্চ সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল। এর আগে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপ সংলগ্ন সৈকতেও একই প্রজাতির মৃত ডলফিন ভেসে আসে। ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট ও ২০ মার্চ একই সৈকতে ভেসে এসেছিল মৃত ডলফিন। ২০২০ সালের এপ্রিলের শুরুতেও টেকনাফ সৈকতে দুটি মরা ডলফিন ভেসে এসেছিল।

এছাড়া গত বছর ১৮ এপ্রিল রাতে কলাতলী সৈকতে একটি মৃত তিমি ভেসে আসে। ২০২১ সালের ৯ ও ১০ এপ্রিল পরপর দুইদিনে হিমছড়ি সৈকতে দুটি মৃত তিমি ভেসে এসেছিল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত