ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দাঁড়িয়ে চালক শহীদুল ইসলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি লাশ নিয়ে ছুটতে হবে তাকে।
খুলনার রূপসা থানার বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী শহীদুল ২২ বছর ধরে গাড়ি চালান। প্রথমে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস চালালেও গত ১২ বছর চালাচ্ছেন অ্যাম্বুলেন্স। সেই অ্যাম্বুলেন্সে কখনও রোগী নিয়ে, কখনও লাশ নিয়ে ছুটছেন দেশের আনাচে-কানাচে।
এই এক যুগে ২ হাজারেরও বেশি লাশ পরিবহন করেছেন শহীদুল। এই লাশ পরিবহনের সময় অনেক ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে, যার ব্যাখ্যা নিজেও পান না। ঘটনাগুলোকে অলৌকিক কিংবা ভৌতিক মনে করছেন তিনি।
এর মধ্যে ২০২০ সালের একটি ঘটনা কোনোদিনই ভুলতে পারেন না শহীদুল। সেদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি লাশ নিয়ে চাঁদপুরের মতলবের ছেঙ্গারচর গিয়েছিলেন; মৃত ব্যক্তির কয়েকজন স্বজন অ্যাম্বুলেন্সে থাকায় তিনি আর নিজের কোনও সহকারী রাখেননি।
কিন্তু পথে এমন ভয় পেয়েছিলেন যে ঘণ্টাখানেকের জন্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে শহীদুল সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “তখন বর্ষাকাল। রাত ১১টার দিকে লাশ নিয়ে রওনা হওয়ায় সময় থেকেই টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছিল। সারা পথ বৃষ্টি আর থামেনি। ঢাকা থেকে মতলব পর্যন্ত ঠিকমতোই গেলাম। কিন্তু এরপরই হঠাৎ করে আমার শরীর খুব খারাপ হয়ে গেল। এত ক্লান্ত লাগছিল যে গাড়ির স্টিয়ারিং ঠিকমতো ধরে রাখতে পারছিলাম না। কোনও রকমে গাড়ি চালাচ্ছিলাম। এভাবে কতটা পথ পাড়ি দিয়েছি যে বুঝতে পারিনি।”
রাত ৪টার দিকে হঠাৎ একটি স্থানে শহীদুলকে গাড়ি থামাতে বলেন অ্যাম্বুলেন্সে থাকা মৃতের স্বজনরা। কথা মতো তিনি গাড়ি থামান।
“সেখানে গাড়ির হেডলাইট ছাড়া আর কোনও আলো নেই। সেই আলোয় যতদূর দেখা যায়, কোনও বাড়িঘর নেই। গাড়ি থামানোর ৪-৫ মিনিটের মধ্যে সেখানে আরও কয়েকজন লোক আসে। তাদের কারও কাছেই টর্চ বা আলো ছিল না। এসেই আমাকে ভাড়া দিয়ে লাশ নিয়ে চলা শুরু করে। কয়েক ফুট আগাতেই তারা হঠাৎ অদৃশ্য! এই দৃশ্য দেখে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।”
সকালে জ্ঞান ফেরে নিজেকে গাড়িসহ একটি চরের মধ্যে আবিষ্কার করেন শহীদুল। চারপাশে কোনও জনবসতি নেই।
“আজও আমি বুঝতে পারিনি সড়ক ছেড়ে সেই চরের মধ্যে কীভাবে গেলাম আমি। আর লাশ নিয়ে লোকগুলো হঠাৎ করে গেল কোথায়?” বলেন শহীদুল।
দুই সপ্তাহ আগেও লাশ নিয়ে নরসিংদীর মনোহরদীতে গিয়েছিলেন শহীদুল। সেখানে হয় আরেক অভিজ্ঞতা।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে যাওয়ার সময় গাড়িতে মৃতের চারজন স্বজন ছিলেন। কিন্তু মৃতের বাড়িতে পৌঁছার পর গাড়ি থেকে সবাই নেমে যান। টিপ টিপ বৃষ্টি হওয়ায় লাশ গাড়িতেই ছিল। গাড়িটি বাড়ির সামনের বাগানে রাখা হয়। এরপর মৃতের কোনও স্বজন না আসায় লাশের সঙ্গে একাই থাকতে হয় শহীদুলকে।
সেই পরিস্থিতি বর্ণনা করে শহীদুল বলেন, “যত দিনেরই অভিজ্ঞতা থাক, সব শেষে আমি মানুষই তো। এমন অন্ধকার বাগানে লাশ নিয়ে একা বসে থাকার সাহস পাইনি। গাড়িতে লাশ রাইখা সারা রাত বাইরে দাঁড়ায়া ছিলাম।”
“একজন মানুষ মারা যাওয়ার পর স্বজনরা এত অবহেলা করলে সহ্য করা যায়? এমন ঘটনা প্রায়ই দেখতে হয়। অনেকে মারা যাওয়ার লাশের সঙ্গে তার আপনজনরা কেউ গাড়িতেও উঠতে চায় না। এমনকি প্রিয় মানুষের লাশ ধরতেও ভয় পায়,” বলেন তিনি।
শহীদুলের চেয়ে মো. সাগরের অভিজ্ঞতা আরও ভয়ঙ্কর। সাত বছর ধরে অ্যাম্বুলেন্স চালান তিনি। গত বছর ঢাকার পঙ্গু হাসপাতাল থেকে একটি লাশ নিয়ে কিশোরগঞ্জে যাওয়ার পথে সেই অভিজ্ঞতা হয় তার।
সাগর সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “পথে হঠাৎ করেই গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেল। কিছুতেই সেটা আর চালু করতে পারিনি। মিস্ত্রি ডেকে চেষ্টা করেও গাড়ি চালু করা যায়নি। পরে আমার অ্যাম্বুলেন্সে থাকা লাশটি অন্য গাড়িতে তুলে দিই। এর পরপরই আমার গাড়ির ইঞ্জিন চালু হয়।”
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সাগর বলেন, আত্মহত্যা করা মানুষের লাশ পরিবহনের সময় ‘ঝামেলা’ বেশি হয়। আর রাত ২টা থেকে ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত সময় সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর।
পঙ্গু হাসপাতালের সামনে পাওয়া যায় আব্দুল ওহাব নামে আরেক অ্যাম্বুলেন্স চালককে। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে অ্যাম্বুলেন্স চালান তিনি। অবশ্য তিনি শুধু রোগী বহন করেন, মৃতদেহ নয়।
তারও রয়েছে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। অ্যাম্বুলেন্স চালানোর শুরুর দিকে একটি লাশ নিয়ে কুমিল্লা গিয়েছিলেন।
সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওহাব বলেন, “গাড়ি চালানোর সময় হঠাৎ করেই কী যেন কী হয়ে গেল! গাড়ির স্টিয়ারিং শুধু ডান পাশে টানে। কোনোভাবেই গাড়ি আর ঠিক লেনে রাখতে পারছিলাম না। পরে দাউদকান্দিতে সড়কের বাম পাশ থেকে ডান পাশে গিয়ে একটি গাছে সঙ্গে ধাক্কা খাই। এরপর লাশটি অন্য গাড়িতে তুলে দিতেই সব কিছু ঠিক হয়ে যায়।
“আমি একই গাড়ি চালিয়ে ঢাকা ফিরে আসি, কিন্তু কোনও সমস্যা হয়নি। এই ঘটনার পর আমি আর কখনোই অ্যাম্বুলেন্সে লাশ তুলিনি। অন্য অ্যাম্বুলেন্স চালকদের কাছে আমি শুনছি, গোসল করানো ছাড়া কোনও লাশ গাড়িতে তুললে এমন ঘটনা ঘটে।”
রুবেল আহমেদ নামে আরেক অ্যাম্বুলেন্স চালক সকাল সন্ধ্যাকে জানালেন, লাশ পরিবহনের সময় এমন সব ঘটনার কারণে অনেক অ্যাম্বুলেন্স চালক গাড়ি চালানোই ছেড়ে দিয়েছেন।
“শুরুতে আমার এই অ্যাম্বুলেন্সটি চালাত রিয়াদ নামে একজন। কিন্তু ২০২১ সালে একটি লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় রিয়াদ এমন ভয় পাইছে যে সে এখন আর গাড়িই চালায় না। চলতি পথে লাশ নাকি রিয়াদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছিল। এই ঘটনায় খুব ভয় পাইছিল সে।”
লাশ বহন করে আরও অনেক চালকের বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়ার কথা অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাও জানান।
তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমরা অ্যাম্বুলেন্স চালকদের কাছ থেকে প্রায়ই এমন সব ঘটনার কথা শুনি।
“এমনকি আমি নিজেও ভুক্তভোগী। আমার একটা অ্যাম্বুলেন্স ছিল। চালকরা বলে, ওই গাড়িতে ডেডবডি তুললে গাড়ি আর আগায় না। আবার গাড়ি থেকে ডেডবডি নামালে সব ঠিক হয়ে যায়। একারণে আমি ওই গাড়ি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছি।”
মোস্তফা জানান, সারাদেশে ৮ হাজারের বেশি অ্যাম্বুলেন্স চলে। এসব অ্যাম্বুলেন্সের চালকের সংখ্যা ১০-১২ হাজার।
কেন এমন হয়
ব্যাখ্যাতীত নানা ঘটনার একটি ব্যাখ্যা নিজের মতো করেই দাঁড় করিয়েছেন অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা।
তিনি বলেন, “জানি এসব অবাস্তব ঘটনা। বাস্তব কোনও ভিত্তি নেই, মনের কল্পনা থেকে আসে। ঘুমের ঘোরে হয়। মনের ভয় হচ্ছে বড় ভয়। কথায় আছে- বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়। সেই মনের বাঘেই খাইছে চালকদের।”
মোস্তফা আরও বলেন, “অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া মারার সময় অনেক সময় হেলপার থাকে, অনেক সময় থাকে না। যখন চালক একা থাকে তখনই এসব ঘটনা বেশি ঘটে।
“চালকদের মধ্যে অশিক্ষিত লোকজনই বেশি। এছাড়া সত্যি বলতে অনেক চালক মাদকাসক্ত। নেশার ঘোরেও তারা বিভিন্ন আজগুবি ঘটনা দেখে। এছাড়া অনেক চালক টানা গাড়ি চালায়। ক্লান্তিতেও তাদের মধ্যে হ্যালুসিনেশন তৈরি হয়।”
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামানও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের এমন বিচিত্র অভিজ্ঞতার জন্য মনস্তাত্ত্বিক চাপকে কারণ হিসাবে দেখান।
তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “চালকদের এই মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। শুধু অ্যাম্বুলেন্স চালক নয়, যারা হাসপাতালের মর্গে কিংবা লাশ কাটা ঘরে কাজ করে, তারাও মাঝেমধ্যে এমন অলৌকিক ঘটনার কথা বলে। সায়েন্টিফিক্যালি আমি বলব, এটা আসলে বিভ্রম।”
চালকদের ঘটনাগুলোর ব্যাখ্যায় হাদিউজ্জামান বলেন, “চালকরা গাড়ি চালানোর সময় অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়, আর কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাৎক্ষণিক। যখন চালকদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, তখন তারা এমন বিভ্রমের শিকার হন। গাড়ির স্টার্টের যে প্রসেস, সেটা হয়ত তিনি পুরোপুরি সম্পন্ন করেননি, কিন্তু মানসিক চাপের কারণে প্রসেসটা স্লো হওয়ায় তিনি সেটা ধরতে পারেননি। চালক গাড়ি স্টার্ট না করেই ভাবতে শুরু করেন স্টার্ট দিয়েছি, কিন্তু গাড়ি স্টার্ট নিচ্ছে না। চালকের মনে ভয় ঢুকে যাওয়ায় অবাস্তব ঘটনাটিই সত্য বলে মনে হয় তার কাছে।
“আর যে চালকরা বলছেন, তাদের গাড়ি একদিকে চলে যাচ্ছে, তাদের গাড়ির হয়ত যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছে বা ফিটনেস ঘাটতি আছে। কিন্তু মানসিক চাপের কারণে তিনি সেটি ভৌতিক ভাবতে শুরু করেন। গাড়িতে মৃতদেহ থাকায় তাদের মনে একটি শঙ্কা বা বিভ্রম তৈরি হয়।”
একই ভাষ্য জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদেরও।
তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, চালকরা সব সময় তীব্র মানসিক চাপের মধ্যে কাজ করেন। এতে অনেক সময় তাদের দৃষ্টিভ্রম হয়, শ্রবণ স্বল্পতা বা চিন্তাশক্তির ঘাটতি দেখা দেয়। সেই সময় অনেকেই এমন অবাস্তব ঘটনা ঘটেছে বলে ভাবতে থাকেন।
“এছাড়া আমাদের দেশের চালকরা একটানা দীর্ঘসময় গাড়ি চালান। অথচ সারা দিনে তাদের ৮ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালানো উচিৎ নয়। আর একটানা বড়জোর ৪-৬ ঘণ্টা গাড়ি চালানো উচিৎ। কিন্তু এমনও চালক আছেন সারা দিনরাত টানা গাড়ি চালান। তখন শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তির কারণেও হ্যালুসিনেশন হয় তাদের। চালকদের কেউ কেউ মাদক গ্রহণ করে। একারণে তার মধ্যে এমন বিভ্রম েদখা দিতে পারে।”
সমাধান কী
এই সমস্যা সমাধানের জন্য অ্যাম্বুলেন্স চালক ও সহকারী উভয়েরই উন্নত প্রশিক্ষণ খুবই জরুরি বলে মনে করেন ড. হাদিউজ্জামান।
“সেটা টেকনিক্যাল ও মানসিক দুইভাবেই। তাদের জানাতে হবে, তারা যেসব বিষয়ের কথা বলছেন, সেগুলো অবাস্তব। তাদেরকে বোঝাতে হবে, এমন ঘটনা কোনোভাবেই ঘটা সম্ভব নয়, বিষয়টি বিজ্ঞানসম্মত নয়।”
একই সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সচালকদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা করার ওপরও জোর দেন তিনি।
“আপনি যখন পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেবেন, তখন আপনি যে কোনও সময় মাইক্রোস্লিপিংয়ের (তন্দ্রাচ্ছন্নতা) শিকার হবেন। ব্যাপারটি ২-১ সেকেন্ডের জন্য হলেও এটা চালকদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। কারণ চালকরা ভাবেন তারা জেগে আছেন, তাদের চোখও খোলা থাকে। কিন্তু আসলে তারা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।”
মাইক্রো স্লিপিংয়ের শিকার হলে মানুষ বিভিন্ন ধরনের স্বপ্ন দেখতে থাকেন জানিয়ে তিনি বলেন, তাই এসব ঘটনা রোধে চালকদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা করার বিকল্প নেই।
চালকদের মাদক থেকে দূরে রাখার পদক্ষেপ নেওয়ার গুরুত্বও তুলে ধরেন ড. হাদিউজ্জামান।
ডা. হেলাল উদ্দিনও চালকদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ দেওয়ার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, “এই সমস্যা সমাধানে চালকদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে।”
মানসিক চাপ মোকাবেলায় অ্যাম্বুলেন্সচালকদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার ওপরও জোর দেন ডা. হেলাল।
এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমাদের দেশের জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ মানসিক সমস্যায় ভুগছে। আর চালকরাও তো সাধারণ মানুষই। সেই হিসেবে প্রতি ১০০ জন চালকের ১৮ জন মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। তাদের জন্য তো চিকিৎসার বিকল্প নেই।”