Beta
বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

‘দুজন নিজের ইচ্ছায় মরছি’- লেখা ডায়েরিতে, লাশ উদ্ধার একজনের

প্রতীকী ছবি। সকাল সন্ধ্যা
প্রতীকী ছবি। সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

বিছানায় পড়ে থাকা লাশের পাশেই রাখা একটি ডায়েরি। তাতে লেখা, “আমরা দুইজন নিজের ইচ্ছায় মরছি। আমি আমার বউকে মারছি। বউ আমাকে মারছে।” তবে লাশ পাওয়া গেছে একজনের। ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বামী।

শনিবার বিকালে ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকার মিন্নাত আলীর বাড়ি থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় ডায়েরিটি।

পুলিশের ধারণা, স্ত্রী জাহানারা খাতুন জান্নাতিকে (২২) হত্যার পর লাশ বিছানায় ফেলে পালিয়েছেন তার স্বামী হাবিবুর রহমান অনিক (২৭)।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের জামাল উদ্দীনের মেয়ে জান্নাতি। তিনি আশুলিয়ার ওই বাড়িতে ভাড়া থেকে শারমিন গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। তার স্বামী অনিক পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনিও শারমিন গ্রুপের পোশাক কারখানায় হেলপার পদে চাকরি করতেন।

জান্নাতির বাড়িওয়ালার মেয়ে সামছুনাহার বলেন, “দুপুরে জান্নাতির অফিস থেকে তিনজন তাকে খুঁজতে আসে। আমার মা তাদেরকে জান্নাতির ঘর দেখিয়ে দেন। ঘরের দরজা বাইরে থেকে ছিটকিনি দেওয়া ছিল। তারা ঘরে গিয়ে দেখে বিছানায় জান্নাতির লাশ পড়ে আছে।”

এরপর বাড়িওয়ালা ৯৯৯ এ ফোন করে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

জান্নাতির লাশের পাশে এই ডায়েরিটি পেয়েছে পুলিশ।

আশুলিয়া থানার এসআই আবজালুল হক জানান, তারা গিয়ে লাশের পাশে ডায়েরিটি পান। সেখানে একটি পাতায় লেখা ছিল, “আমরা দুইজন ইচ্ছায় মরছি। এইখানে কারো দোষ নাই। আমরা নিজের ইচ্ছায় মরছি। আমি আমার বউকে মারছি। বউ আমাকে মারছে। এইখানে বাড়ির কারো দোষ নাই।”

তবে স্বামী অনিককে খুঁজে না পাওয়ায় তাকেই সন্দেহ করছে পুলিশ।

এসআই আবজালুল বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে (জান্নাতি) শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়েছে তার স্বামী। লাশের মুখে ফেনা ছিল, সেক্ষেত্রে বিষপানেও আত্মহত্যা হতে পারে।”

ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।”

এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত