Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

সিলেটে ২ হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন

ss-sylhet-30-01-24
[publishpress_authors_box]

আলাদা দুটি হত্যা মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে সিলেটের দুটি আদালত।

মঙ্গলবার সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিয়াজী শহিদুল আলম চৌধুরী ও সিলেটের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস এই দুটি মামলার রায় দেন।

এর মধ্যে শিশু ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় চারজন এবং আরেকটি হত্যা মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

শিশু হত্যার মামলাটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, সিলেটের বটেশ্বর এলাকায় ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল বিকালে হাফেজা খাতুন (১২) গরু চড়াতে যায়। পরদিন সকালে তার বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদি হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। আনোয়ার হোসেন নামের একজনকে আটকের পর তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও তিনজনের নাম জানান। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়।

এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিলেটের বটেশ্বর এলাকার আনোয়ার হোসেন, মো. খোকন, ফয়সল আহমদ ও মো. আনাই।

সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী বলেন, চার আসামির মধ্যে তিনজন কারাগারে রয়েছেন এবং আনোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছেন।

দ্বিতীয় মামলাটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, সিলেট নগরের খুলিয়াটুলা এলাকার বাসিন্দা তাজুল ইসলাম ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট রাতে খুলিয়াটুলার গরম দেওয়ান মাজারের পাশে খুন হন। এ ঘটনায় তাজুলের স্ত্রী সিলেট সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শাহানা বেগম ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের পর ১৬ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলায় আদালত সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।

এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিলেট নগরের কুয়ারপাড় এলাকার শাকিল ওরফে পিচ্চি শাকিল ও আল আমিন, খুলিয়াটুলা এলাকার সবুজ মিয়া, কলাপাড়া এলাকার মিন্টু আহমদ, কুয়ারপাড় এলাকার আবদুর রহিম, আবদুল ওহাব ওরফে কাইয়ুম এবং কুমারপাড়া এলাকার তোফায়েল।

সিলেট জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মফুর আলী বলেন, মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার ৭ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। আর ৯ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত