Beta
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আবু সাঈদের মৃত্যু, মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তর

পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো আবু সাঈদের ছবি এখন ব্যাপক আলোচিত।
পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো আবু সাঈদের ছবি এখন ব্যাপক আলোচিত।
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, রংপুর

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, রংপুর

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই)। ওই সংঘর্ষের মধ্যে পড়েই নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।  

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আছেন আবু সাঈদ। এক পুলিশ সদস্য তাকে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়ছেন। এর কিছুক্ষণ পরই সাঈদ লুটিয়ে পড়েন এবং অন্যরা এসে তাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যান।

১৬ জুলাইয়ের এই সংঘর্ষের ঘটনায় পরদিন নগরীর তাজহাট থানায় একটি মামলা করেন উপপরিদর্শক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়।

যদিও পুলিশের দেওয়া প্রাথমিক তথ্য বিবরণী বা এফআইআর অনুযায়ী, আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহত হননি। সংঘর্ষ ও গোলাগুলির এক পর্যায়ে তাকে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে সোমবার সেই মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন।

সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা সংস্কারের আন্দোলন সহিংসতায় গড়ানোর পর প্রথম নিহত হন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাঈদ। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুরে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন তিনি।

তাজহাট থানায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়, “বেলা ২টা ১৫ মিনিটের দিকে ছাত্র নামধারী সুবিধাভোগী রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনরত দুর্বৃত্তগণ বিভিন্ন দিক থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ও তাদের নিকটে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র হতে এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও এপিসি গাড়ির মধ্য হতে কং/ ১১৮৬ সোহেল তার নামীয় সরকারি ইস্যুকৃত শটগান হইতে ১৬৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ফায়ার করে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।”

সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে এজাহারে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের এক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সহপাঠীরা ধরাধরি করে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এই মামলায় অজ্ঞাত দুই থেকে তিন হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত