মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে।
বিজিপির এই সদস্যের নাম ক্যাউ নন্দা (৩০), তিনি ল্যান্স কর্পোরাল পদে কর্মরত ছিলেন। সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে মৃত্যুর এক মাস দুদিন পর বৃহস্পতিবার রামুর মহাবিহার শ্মশানে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাসের প্রতিনিধি।
এর আগে ৩৮ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৩ আগস্ট মৃত্যু হয় ক্যাউ নন্দার।
সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবির কক্সবাজার-৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সংঘর্ষ চলছে। এর জেরে বিভিন্ন সময় সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপির অনেক সদস্য। যার মধ্যে ১২৪ জন এখনও বাংলাদেশেই রয়েছেন।
এদের মধ্যে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্য ক্যাউ নন্দা গত ২৮ জুলাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের কর্তব্যরত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে গত ২ আগস্ট তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, “গত ৩ আগস্ট রাতে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিজিপি সদস্য ক্যাউ নন্দার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর মৃতদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখে। পরবর্তীতে বিষয়টি বিজিবির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে সরকারের পক্ষ থেকে মিয়ানমার দূতাবাসে যোগযোগ করেন।”
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী জানান, সরকার সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি বিজিবি কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৭ আগস্ট চমেক হাসপাতালের মর্গ থেকে বিজিপির সদস্যের মৃতদেহটি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়।
সবশেষ আজ বেলা সকাল ১১ টায় রামুর মহাবিহার শ্মশানে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং বিজিবির সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে ক্যাউ নন্দার সৎকার করা হয়।